তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছাড়াই শিশুর শরীরে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে করোনা! দাবি বিজ্ঞনীদের

বিজ্ঞানীদের দাবি, তিন দিন থেকে অন্তত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুদের নাকের ভিতর ভাইরাস কণা বাসা বেঁধে থাকতে পারে কোনও উপসর্গ ছাড়াই! 

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Sep 6, 2020, 05:46 PM IST
তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছাড়াই শিশুর শরীরে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে করোনা! দাবি বিজ্ঞনীদের
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৬৩২। এ পর্যন্ত এক দিনে করোনা আক্রান্তের নিরিখে এটাই সর্বোচ্চ। ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে ভারতে করোনা পরিস্থিতি। গোটা বিশ্বে মহামারীর ছবিটাও মোটামুটি একই রকম। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিল করোনা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক দাবি। সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছাড়াই শিশুর শরীরে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে করোনাভাইরাস!

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় চালানো একটি গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, তিন দিন থেকে অন্তত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুদের নাকের ভিতর ভাইরাস কণা বাসা বেঁধে থাকতে পারে। দেখা গিয়েছে, শিশুরা কোনও উপসর্গ ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ২২ হাসপাতালের ৯১টি শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য সামনে দিয়েছেন গবেষকরা। এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনা শিশুদের শরীরে তেমন ক্ষতি করতে না পারলেও তাদের নিঃশব্দে সংক্রমিত করে তুলছে। উপসর্গহীন ওই শিশুদের থেকে অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন।

২৮ অগাস্ট ‘জামা পেডিয়াট্রিক্স’ (JAMA Pediatrics)-এর ডিজিটাল সংস্করণে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে করোনার সংক্রমণের প্রভাব মৃদু। অধিকাংশ শিশুর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখাও যায় না। কিন্তু পরবর্তিতে আক্রান্ত শিশুদের শরীরে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসি (CDC)-এর পত্রিকার একটি প্রবন্ধে একদল চিনা গবেষকের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ওই গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছে, ১৪ দিন বা ২০ দিন নয়, মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস প্রায় ৪৯ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। গবেষণায় এমনই প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ওই চিনা গবেষকদের। মোট ৪৯ জন করোনা আক্রান্তকে দীর্ঘ দিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণাপত্রে।

আরও পড়ুন: ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’! সতর্ক করলেন AIIMS-এর ডিরেক্টর

তবে এই দুই গবেষণার সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কারণ, মাত্র ৪৯ জন বা ৯১ জন করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাছাড়া, কত দিন পর্যন্ত এক জনের শরীর থেকে অন্য জনে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি এই দুই গবেষণা থেকে।

.