নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৪৩ জনের। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। প্রতিদিনই ৩৫-৪০ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর করোনা থেকে সেরে ওঠার পরবর্তি পরিস্থিতি বা শারীরিক সমস্যাগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (National Centre for Disease Control বা NCDC) ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে ২১ হাজার ৩৮৭ জনকে নিয়ে সমীক্ষা চালায়। এঁদের মধ্যে ২৩.৪৮ শতাংশের রক্তে করোনা-রোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার এই রাজ্যে এখনও ০.০৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মত, নতুন করে সংক্রমিত হওয়া এই করোনাভাইরাস আগের চেয়ে অনেক বেশি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই ভাইরাস আগের মতো ততটা প্রাণঘাতী নয়!


বিগত কয়েক মাসে দিল্লির বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কিডনি, হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। চিকিৎসকরা দেখেছেন, এঁদের অধিকাংশের মধ্যেই হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা নতুন করে দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে। তবে এই ভাইরাসে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর তার ক্ষতিকর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে!


আরও পড়ুন: করোনা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি ছোঁয়াচে, তবে সে তুলনায় ততটা প্রাণঘাতী নয়! দাবি সমীক্ষায়


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের বড় বড় শহরে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার ১৪-১৫ দিন পর অনেকেই সামান্য শ্বাসকষ্ট, তলপেটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো সাধারণ সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসছেন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এঁদের অনেকের মধ্যেই নতুন করে কিডনি, হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেকের মধ্যেই নতুন করে বুক জ্বালা, বদ হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার মতো ছোট খাট সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও অধিকাংশ আক্রান্তই সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হতে পারছেন না। বেশ কিছু ছোট-বড় শারীরিক সমস্যা নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে। এর মধ্যে কিডনি, হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। কারণ, এগুলি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা।