করোনা মুক্ত হলেও সুস্থ নন, ৪-১২ সপ্তাহের বেশি এই উপসর্গ থাকলে, প্রয়োজন চিকিৎসার
কোভিড আপনার শরীরে তেমন এফেক্ট ফেলতে না পারলেও আপনাকে অসুস্থ করে দিয়েছে। তাই, সেই রোগের জন্য যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১২ সপ্তাহ থাকছে করোনার প্রভাব। কোভিড মুক্ত হলেও আপনি সুস্থ নন। চিকিৎসা আরও দীর্ঘমেয়াদি হতে চলেছে। এমনটাই জানালেন AIIMS ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। করোনা মুক্ত হলেও, বিশ্রাম এবং প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসার। তা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, সতর্ক করলেন তিনি।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, করোনা মুক্ত কিন্তু জ্বর কমছে না। শ্বাসকষ্ট বহাল রয়েছে। হাতে ধরার ক্ষমতা লোপ পেয়েছে। ক্লান্তিতে মাথা তোলা দায় হচ্ছে। সারা শরীর যন্ত্রণা করছে। অনেকে মনে করছেন কোভিড ছিল শরীরে এতদিন তাই এই অসুস্থতা রয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ সঠিক নয় এই ধারণা। কোভিড আপনার শরীরে তেমন এফেক্ট ফেলতে না পারলেও আপনাকে অসুস্থ করে দিয়েছে। তাই, সেই রোগের জন্য যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে।
আরও পড়ুন: আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমল ২৪ ঘণ্টায়, কোভিড মুক্ত ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৫০ জন
প্রসঙ্গত, করোনা থেকে সেরে উঠলেও দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যদি উপসর্গ, সুস্থ হওয়ার পরেও ৪-১২ সপ্তাহ ধরে দেখা যায় তখন সেটিকে ‘পোস্ট অ্যাকিউট কোভিড সিনড্রোম’ বলা হচ্ছে। আর যদি উপসর্গ তিন মাসের বেশি সময় ধরে শরীরে পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেটিকে ‘লং কোভিড সিনড্রোম’ বলা হয়ে থাকে। যত দ্রুত সম্ভব আপনি কার শিকার সেদিকে নজর দিতে হবে।
গুলেরিয়ার কথায়, 'করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে সুস্থ ব্যক্তির মূল যে সমস্যা হচ্ছে তা হল শ্বাসকষ্ট। বুক ধরফর করা। কথা বলতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠা। পালস রেট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া বা কখনও কমেও যেতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যে উপসর্গগুলি দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হল শ্বাসকষ্ট'।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের রামদেবের দাওয়াই বিনামূল্যে দেবে হরিয়ানার বিজেপি সরকার
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে, যাতে কাজ করতে গিয়ে অল্পেতেই হাঁফিয়ে উঠছেন সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা। এই ধরণের উপসর্গগুলি টানা দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসা করান। পরীক্ষা করান শরীরের।