নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে বর্তমানে ৪২.৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০০। বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়বেটিসের কারণে। ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাধী। ডায়াবেটিসের ফলে দেহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। এটি এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডায়াবেটিস ধরা পড়লে প্রথমেই মিষ্টি জাতীয় খাবার বন্ধ করার কথা বলেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে একেবারে বদলে যায় রোজকার রুটিন। তখন ইনসুলিন ইনজেক্সনই হয়ে ওঠে একমাত্র ‘রক্ষাকবচ’। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ওজন কমানোর অব্যর্থ ওষুধ হল অ্যালকোহল।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেড়শো বছরের প্রাচীন পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের মতে, শরীরের অতিরিক্ত ওজনই এই ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম কারণ। আর শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাকি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে অ্যালকোহল! তবে এই অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঠিক কতটা পরিমাণ অ্যালকোহল সেবন করা উচিত, তা নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।


পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আরিয়ানা এম চাও জানান, সারা বিশ্বের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। শরীরের অতিরিক্ত ওজন আর রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির জন্য নিয়ন্ত্রিণহীন, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, বেহিসেবি জীবনযাপনকেই দায়ি করেছেন তিনি। চাও জানান, ৫,০০০ প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা ও পুরুষের উপর দীর্ঘ চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন করতে পারলে শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলা অনেকটাই সহজ হয়। এই গবেষণা দেখা গিয়েছে, চার বছর ধরে যাঁদের অ্যালকোহল দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ওজন অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কমেছে আর রক্তে শর্করার পরিমাণও অনেক নিয়ন্ত্রণে।


অধ্যাপক চাও জানান, স্বল্পমেয়াদী প্রক্রিয়ায় ওজন কমানোর চেষ্টা না করে বিজ্ঞানসম্মত দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই গবেষণায়। এই গবেষণা আরও অনেক নতুন দিশা দেখাবে বলে তাঁর আশা।