নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যেমন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে মাস্কের চাহিদাও। এমন সময়ে আইআইটি-দিল্লি স্টার্টআপ ‘NSafe সলিউশনস’ নামে একটি অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল মাস্ক আবিষ্কার করেছে যা ধুয়ে নিয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। আইআইটি-দিল্লির দাবি, এই মাস্ক ৫০ বার ধুয়ে পুণরায় ব্যবহার করা যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘NSafe সলিউশনস’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী চিকিৎসক অনুসুয়া রায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “এই মাস্কটি যতটা মজবুত ঠিক ততটাই টেকসই। এই দুটি বৈশিষ্ট্যের কতা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। যাতে মাস্কটি ৫০ বার পর্যন্ত ধুয়ে ব্যবহার করা যায়। বার বার যাতে নতুন মাস্ক কিনতে না হয় সে কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই মাস্ক।”


আইআইটি দিল্লির টেক্সটাইল অ্যান্ড ফাইবার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মঙ্গলা জোশী বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি এটি ভারতে প্রথম ফ্যাব্রিকের তৈরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক, যা এএসটিএম মান অনুযায়ী পরীক্ষিত। একই সঙ্গে উচ্চ ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারেশন দক্ষতা সম্পন্ন। যা ধোয়া যায় এবং পুনরায় ব্যবহার যোগ্য মাস্ক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এই মাস্ক পড়লে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হয় না, খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে এই মাস্ক।”


NSafe মাস্ক ত্রিস্তর বিশিষ্ট সুরক্ষাযুক্ত যার অভ্যন্তরীণ স্তরে রয়েছে হাইড্রোফিলিক স্তর, মাঝের স্তরে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল স্তর এবং শেষ স্তরে রয়েছে জল এবং তেল প্রতিরোধক স্তর। NSafe মাস্কটির ব্যাকটেরিয়াল পরিস্রাবণ দক্ষতা ৩ মাইক্রন। সংস্থার দাবি, এই মাস্ক ৯৯.২ শতাংশ পর্যন্ত জীবানু প্রতিরোধে সক্ষম।


আরও পড়ুন: করোনার প্রতিষেধকের আবিষ্কার করা সম্ভব নয়! আশঙ্কা WHO-এর


মাস্কটি অত্যন্ত আরামদায়ক এবং নিঃশ্বাস নিতে সুবিধাজনক পাশাপাশি খুব সহজেই ত্বকের সঙ্গে ফিট হয়ে যায়। এই ২ মাস্কের প্যাকেটের দাম ধার্য করা হয়েছে ২৯৯ টাকা। ৪টে মাস্কের প্যাকেটের দাম ধার্য করা হয়েছে ৫৮৯ টাকা। ইতিমধ্যেই এর উৎপাদন শুরু হয়ে গিয়েছে।