নিজস্ব প্রতিবেদন- রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়ে দিল, ১০ কোটি ডোজ করোনা টিকা তারা ভারতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। স্পুটনিক-৫ টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সহায়তা এবং বণ্টনে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই টিকা কি সবার কাছে পৌঁছবে! এই নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ১০ কোটি করোনা টিকা ডোজ পাওয়াটাও আপাতত বড়সড় খবর। আরডিআইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ডক্টর রেড্ডিকে ১০০ মিলিয়ন টিকার ডোজ দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় স্পুটনিক-৫ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই টিকার সুরক্ষা প্রমাণিত। ভারতে ২০২০-র শেষের দিকে টিকা পাঠানো শুরু হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভ গত কয়েক সপ্তাহে বারবার ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। টিকা তৈরির পদ্ধতির বিষয়েও নাকি রাশিয়ার তরফে ভারতকে জানানো হয়েছে। তবে এই নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। গত সপ্তাহে মস্কোয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গাইজেশন (এসসিও) ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও করোনার টিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে ওই মিটিং-এ আলোচনার পরই ভারতকে টিকার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে রাশিয়া এগিয়ে এসেছে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন-  দুনিয়ায় সবার কাছে করোনা টিকা পৌঁছতে লাগবে আরও ৪ বছর, সাফ জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট


আরডিআইএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারিতে মারাত্মক প্রভাবিত দেশগুলির মধ্যে ভারতের নাম রয়েছে। আর তাই এই মুহূর্তে ভারতের টিকার ডোজ ভীষণভাবে প্রয়োজন। এদিকে, ডক্টর রেড্ডির কো-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদ জানিয়েছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ। ফলাফল আশানুরূপ। ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।