করোনার চিকিৎসায় প্রাচীন সিদ্ধা পদ্ধতিতেই মিলছে ১০০% সাফল্য! দাবি তামিলনাডুর গবেষকদের
গবেষকরা জানান, মূলত উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের উপরেই সিদ্ধা পদ্ধতি নির্ভর ওষুধপত্র প্রয়োগ করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সচেতনতা, আগাম সতর্কতার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কেন্দ্রের AYUSH মন্ত্রকের ভরসা ভারতীয় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উপর। আয়ুর্বেদিক, যোগাভ্যাস, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি— এই পাঁচ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে করোনা মোকাবিলার পরামর্শ আগেই দিয়েছে কেন্দ্রের AYUSH মন্ত্রক। সেই পরামর্শ মেনে করোনার মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথির ব্যবহার আগেই শুরু হয়েছিল। করোনার চিকিৎসায় এ বার সিদ্ধা পদ্ধতির প্রয়োগে ১০০ শতাংশ সাফল্য দাবি করলেন তামিলনাডুর গবেষকরা।
জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৫ জন করোনা আক্রান্তকে সিদ্ধা পদ্ধতি নির্ভর চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলেছেন চেন্নাইয়ের একটি সিদ্ধা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা। এই তথ্য সামনে আসার পরই তামিলনাডুর সরকার ভেসারপদির আম্বেদকর কলেজেও সিদ্ধার চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
সিদ্ধা চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত তামিলনাডুর গবেষকরা জানান, মূলত উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের উপরেই সিদ্ধা পদ্ধতি নির্ভর ওষুধপত্র প্রয়োগ করেছেন। আর এই সমস্ত রোগীরা সিদ্ধা পদ্ধতির চিকিৎসা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত শক্তি হারাচ্ছে অ্যান্টিবডি! চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত মিলল সমীক্ষায়
এপ্রিলেই একটি নির্দেশিকায় বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বা ধারার একাধিক ওষুধের নাম ও সেগুলি খাওয়ার নিয়মাবলিও জানানো হয়েছে AYUSH মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ওই নির্দেশিকায় উল্লেখিত আয়ুর্বেদিক, সিদ্ধা বা হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে জানায় AYUSH মন্ত্রক। AYUSH মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকায় সিদ্ধা পদ্ধতি নির্ভর ওষুধ: কাবাসুরা কুদিনীর (Kabasura kudineer) দিনে একবার খাবার আগে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৯০ মিলিলিটার (ml) এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ মিলিলিটার (ml) করে সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।