নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানের চূড়ান্ত ব্যস্ত জীবনযাত্রার চাপে, দীর্ঘদিনের অনিয়মের ফলে হৃদযন্ত্রে নানা শরীরে আমাদের অজান্তেই বাসা বাঁধছে। বাড়তে থাকা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টোরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ— মূলত এগুলিই হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও বোঝা যায় না। কারণ, এমন অনেক সময় হয়, যখন বুকে কোনও রকমের ব্যথা বোধ হওয়া ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেশির ভাগ মানুষেরই নিয়মিত হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়ে ওঠে না। তাহলে কী করে বুঝবেন আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য কেমন আর হার্ট অ্যাটাকের কতটা আশঙ্কা রয়েছে? একটা পদ্ধতি আছে যা থেকে সহজেই এই দু’টি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে। একাধিক গবেষণাতেও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষার এই পদ্ধতির কার্যকারীতার প্রমাণিত হয়েছে। আসুন হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সহজ পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক...


হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পদ্ধতি:


ধাপ ১: প্রথমে মাটিতে সোজা হয়ে বসে নিয়ে পা দু’টি জোড়া অবস্থায় সামনের দিকে সমান করে ছড়িয়ে দিন। খেয়াল রাখতে হবে, পা দু’টি আর পায়ের আঙুলগুলি যেন একটুও ভাঁজ হয়ে না থাকে।


ধাপ ২: এ বার দু’টি পা সামনের দিকে টানটান করে ছড়িয়ে রাখা অবস্থায় পায়ের আঙুলগুলি দু’হাত দিয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।



ধাপ ৩: যদি পা দু’টি একটুও ভাঁজ না করে দু’হাত দিয়ে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট একেবারে সুস্থ আছে। আর যদি এমনটা না করতে পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনার ব্লাড ভেসেলগুলি যথেষ্ট ফ্লেক্সিবেল বা নমনীয় নয়। তাই আপনি পায়ের আঙুল ছুতে পারছেন না। আর যদি এমন হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন: থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেনে নিন এই ৪টি অব্যর্থ উপায়


হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাড ভেসেলগুলি যদি যথেষ্ট নমনীয় না হয়, সে ক্ষেত্রে হার্টের নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়। তবে অনমনীয় ব্লাড ভেসেল মানেই আপনার হার্টের রোগ আছে, এমনটাও ভেবে নেওয়া ঠিক নয়! কারণ, কোনও ব্যক্তির বয়স, তাঁর শরীরে মেদের পরিমাণ, তাঁর ওজন স্বাভাবিক আছে কিনা বা তাঁর মধ্যে কোন কোন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে— এমন আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়। তাই উল্লেখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে গিয়ে যদি সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।