একটি ডোজে `ভুয়ো সুরক্ষা` তৈরি হচ্ছে দেহে! টিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে ভ্যাকসিনের একটি ডোজে কোনও সুরক্ষা তৈরিই হচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছে ডেল্টা ভাইরাস (Delta variant)। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির জন্য উদ্বেগের একটি বড় কারণ হয়ে উঠেছে। আগামী দিনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে ডেল্টা প্রজাতি এবার বড় হুমকির কারণ হয়ে উঠেছে।
পুণে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে কোভিডের ভাইরাস প্রজাতির নমুনার জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষণ চলছে। এরপর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে ভ্যাকসিনের একটি ডোজে কোনও সুরক্ষা তৈরিই হচ্ছে না।
চিকিৎ সক শশাঙ্ক যোশী বলেন, “বর্তমান যে ট্রেন্ড রয়েছে দেশে তা খুব আশা জাগাচ্ছে না। করোনা বিধি নিষেধে আরও কঠোর হতে হবে। এই কারণে সংক্রমণের হারও বেশি অনেকটাই। দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যাকে দুটি ভ্যাকসিন না দেওয়া পর্যন্ত নিয়ম মেনে চলা উচিত।”
আরও পড়ুন, 'অনুমোদনে আরও সময়', শিশুদের জন্য এখনই Vaccine নয় Zydus Cadila-র
এদিকে একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ডেল্টা প্রজাতিকে রুখতে ভ্যাকসিনের একটি শট যথেষ্ট নয়। গবেষকরা বলেছেন যে দুটি শট দিয়ে ৯৫ শতাংশ ব্যক্তিদের দেহে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনাক্রমতা গড়ে তোলা সম্ভব।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৩৮.৬ কোটির মতো টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আরও ১১,২৫,১৪০ ডোজ প্রদান করা হবে। সবমিলিয়ে মানুষকে ৩৭.১৬ কোটির মতো টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
করোনা টিকাকরণের গতিও ধীর হতে শুরু করেছে। একাধিক রাজ্যে করোনার টিকাকরণ ফের থমকে গিয়েছে। জুলাইতে এক কোটি টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিলেও তা এখনও লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। দেশে টিকাকরণ (প্রথম ডোজ) হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ জনের।