নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি COVAXIN এবং আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) ZyCov-D— এই দু’টি করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19) চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। কিন্তু ২০২১ সালের আগে কোনও প্রতিষেধকই হাতে পাওয়া যাবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে এগুলির উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিকে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে, এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৯০০ জনের। ভারতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১১৪ জন। এই পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিষেধকের জন্য আরও ৫-৬ মাসের অপেক্ষা উদ্বেগ বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখাল অন্য একটি রোগের প্রতিষেধক।


সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ (Proceedings of the National Academy of Sciences)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে! এই গবেষণা সম্পর্কে গবেষক দলের প্রধান ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লুইস এস্কোবার (Luis Escobar, Virginia Polytechnic Institute) জানান, আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের উপর যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে মৃত্যুর হার প্রায় ১০.৪ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গিয়েছে।


আরও পড়ুন: কবে থেকে পাওয়া যাবে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার টিকা? জানিয়ে দিল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট


মাসাচ্যুসেটস জেনারেল হাসপাতালের ইমিউনোবায়োলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডঃ ডেনিস ফস্টম্যান জানান, বিসিজি প্রতিষেধকের (মূলত যক্ষার প্রতিষেধক হিসাবেই প্রয়োগ করা হয়) প্রয়োগ শরীরের সহজাত প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে যাঁদের এই বিসিজি প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শরীর যে কোনও সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রেই দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রেও বিসিজি প্রতিষেধকের প্রয়োগে ভাল ফল লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে বা এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা, তা দেখান জন্য বিসিজি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রয়োজন।