ওয়েব ডেস্ক : ক্যানসার আমাদের জীবনের এখন একটি অতি পরিচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাড়ায় পাড়ায়, অলিতে গলিতে এখন একট দুটি করে ক্যানসার আক্রান্ত দেখা যায়। চিকিত্‍সকদের বক্তব্য, দূষণ, কাজের ধরন, খাওয়ারের রকমফেরই নাকি এই রোগগের উত্‍স। বহু ক্ষেত্রে অতি সাধারণ জীবনযাপন করেও মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না এই মারণ ব্যাধী থেকে। তবে, আমরা যদি একটু নিজেদের পরিবর্তন করতে পারি তাহলে হয়তো বিপদের আশঙ্কা কিছুটা হলেও রোধ করা যাবে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রতিদিনের জীবনে আমরা যদি এই খাবারগুলিকে আমাদের খাওয়ারের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারি তাহলে ক্যানসার রোখা যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়-


১) প্রসেস্ড মিট(Processed Meat) : কাজের সুবিধার জন্য আজকাল আমরা সব কিছুতেই প্যাকেজড ফুড বা টিন ফুডের ব্যাবহার করি। চটজলদি খাবার তৈরি করা যায়। সঙ্গে ঝঞ্ঝাটও কম এই ধরনের খাবারের ক্ষেত্রে। শাক-সবজি থেকে মাছ, এমনকী মাংসও আমরা এভাবেই খাই। তবে সমীক্ষায় বলা হচ্ছে টিনড মিট বা প্রসেস্ড মিট-এ প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম নাইট্রেট থাকে। এই রাসায়নিকটি শরীরে ক্যানসার সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বস্তু।



২) মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন (Microwave Popcorn) : ফাস্ট-ফুড থেকে পটাটো ওয়েফার্স এমনকী পপকর্ন, তরুন প্রজন্মের কাছে অতি পরিচিত এবং পছন্দের। গোটা দিনটাই তারা এগুলোর উপর কাটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু, মাইক্রোওয়েভে তৈরি করা পপকর্ন শরীরে পারফ্লুওরকট্যানোইক অ্যাসিড (Perfluorooctanoic acid) তৈরি করে। আর এই অ্যাসিড অতি সহজেই ক্যানসারের তৈরির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।



৩) রিফাইন্ড ময়দা (Refined White Flour) : প্যাকেটজাত ময়দা বা আটাও রয়েছে এই তালিকায়। প্রাচীনকালে বাড়িতে মা ঠাকুমারা গম কিনে কলে আটা তৈরি করে আনতেন। আর এখন চটজলদি কাজের জন্য মিলছে প্যাকেট করা রিফাইন্ড আটা বা ময়দা। চিকিত্‍সকরা বলছেন এই আটা ময়দায় থাকে ক্লোরিন গ্যাস। আর তা থেকেই শরীরে তৈরি হতে পারে ক্যানসার।


৪) রিফাইন্ড চিনি(Refined Sugar) : রিফাইন্ড চিনি। এটি শরীরে নানা ধরণের রোগ তৈরি করার অন্যতম একটি উপাদান বলে মনে করেন চিকিত্‍সকরা। শরীরে জীবন্ত সেল অতি সহজেই নষ্ট করে দিতে পারে এই চিনি। আর তার ফলেই দেখা দিতে পারে ক্যানসার। সুধু রিফাইন্ড চিনিই নয়, এই তালিকায় রয়েছে রিফাইন্ড নবনরিফাইন্ড তেলও। এগুলি প্রতিটিই শরীরে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে আর তা থেকেই ক্যানসারের উত্‍পত্তি হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিত্‍করা।



৫) চাষ করা মাছ (Farmed Fish) : যে সব মাছ পুকুরে মা ভেরিতে চাষ করা হয়, সেই মাছ খেতে বারন করছেন চিকিত্‍করা। মাছ আকারে বড় করতে এবং সুস্থ রাখতে সেখানে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ওযুধ। আর এই ওষুধ থেকেই মানুষের শরীরে তৈরি হয় রোগ। বাসা বাধছে ক্যানসারের মতো রোগও।


৬) কোল্ড ড্রিঙ্ক(Soda Drink) : বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের সফ্ট ড্রিঙ্ক। গরমে তেষ্টা মেটাতেই হোক বা ফাস্ট ফুডের সঙ্গেই হোক ৮ থেকে ৮০ সকলেই এই সফ্ট ড্রিঙ্ক পছন্দ করেন। অথচ, চিকিত্‍সকদের মতে এই সব ড্রিঙ্ক-এ থাকে মারাত্মক ক্ষতিকারক সোডা। আর তা থেকেই ক্যানসারের মতো মারণ ব্যাধি বাসা বাধতে পারে শরীরে। শুধু সফ্ট ড্রিঙ্কই নয়, নিষেধের তালিকায় রয়েছে কার্বাইড দিয়ে পাকানো বিভিন্ন ফলও। এই কার্বাইড থেকেই মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে ক্ষতিকারক রাসায়নিক।



৭) প্যাকেকজাত আলুভাজা (French Fries) : প্যাকেটজাত আলুভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গেই হোক বা মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে দেখতে, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-এর কামড় ও সফ্ট ড্রিঙ্কে চুমুম দিতে সকলেরই বেশ লাগে। কিন্তু, এই কামড় ও চুমুকই আপনার শরীরে ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগকে। আপনার অজান্তেই আপনাকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যু মুখে। এর থেকে শরীরে ঢুকে পড়তে পারে ক্ষতিকারক অ্যাক্রিলামাইড অ্যাসিড।