নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার শুরু হয়েছিল টিকাকরণ কর্মসূচি। মাঝে রবিবার ছুটির দিন। আজ সোমবার থেকে ফের দেশজুড়ে আজ কোভিডের টিকা নেওয়ার দ্বিতীয় দিন। প্রথম পর্যায়ে কোভিড যোদ্ধাদেরই টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই মত চলছে টিকাকরণ। এদিকে প্রথম দিনে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যক তথ্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কা সামলে ফের পুরনো ছন্দে মেট্রো, আজ থেকে লাগবে না ই-পাস


একটি ভ্যাকসিনের ভয়েল বা শিশি থেকে ১০ জনের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়। সেই মত একটি শিশি থেকে দশজনকে দেওয়ার পর যে ভ্যাকসিন বেঁচে থাকছে, সে সমেতই শিশি ফেলে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর এই ছবি সামনে আসার পর নড়ে চড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। ভ্যাকসিন অপচয় রুখতে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে আর ভ্যাকসিন অপচয় করা যাবে না।


কেউ দ্বিধাগ্রস্ত, তো কেউ আবার আশাবাদী। রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচির (Vaccination) প্রথমে দিন কিন্তু লক্ষ্যপূরণ হয়নি! শনিবার দিনভর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২০৭টি কেন্দ্র এই টিকাকরণ কর্মসূচি চলে। ভ্যাকসিন নেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতরের আশা ছিল, প্রতিটি কেন্দ্র যদি ১০০ জন করেও আসেন, তাহলে ২০ হাজার ৭০০ জন কোভিশিল্ডের ডোজ পাবেন। ভ্যাকসিন নিলেন কতজন? সংখ্যাটা ১৬ হাজারের আশেপাশে। এদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিসি রায় হাসপাতালের এক নার্স। তাঁকে ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে।


সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার গণ টিকাকরণ (Vaccination)। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৬,৮৯,০০০ টিকার ডোজ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে কলকাতা পেয়েছে প্রায় ৯৪ হাজার ভ্যাকসিন (Covid Vaccine)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার এসএসকেএম, মেডিকেল কলেজ, আরজি কর এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। টিকাকরণ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এর পাশাপাশি বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালেও চলছে টিকাকরণ। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে প্রথম ভ্যাকসিন নেন চিকিত্সক বিপাশা শেঠ।