নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে ফের যেমন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তেমনি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। ডবল ডোজ ভ্যাকিসন নিয়েও ফের করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কোনও কোনও মহলের দাবি, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না করোনা ভ্যাকসিন। এরকম এক পরিস্থিতিতে ভারতে তৈরি হয়ে গেল আরএনএ ভ্যাকসিন। তৈরি করেছে পুনের সংস্থা জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস( Gennova Biopharmaceuticals)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার যেকোনও প্রজাতিকেই এই ভ্যাকসিন কাবু করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে। সম্ভবত ফেব্রুয়ারি মাসে এটির ট্রায়াল শুরু হবে। ভ্যাকসিনটি সম্পর্কিত পরিসংখ্যান শীঘ্রই খতিয়ে দেখবে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া(DCGI)।


গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়াল দেওয়ার কথা সাংবাদমাধ্যমে জানায় জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস। ভ্যাকসিনটির নামকরণ করা হয়েছে HGCO19। এটির দুটি ট্রায়ালের ডেটা ডিসিজিআইয়ের কাছে জমা দেওয়ার কথা জানায় জেনোভা।


আরও পড়ুন-কবে থেকে দেওয়া হবে ১২-১৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন, ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র


সংস্থার তরফে জানানো হয় ভ্যাকসিনটির(mRNA Vaccine) ফেজ ১ এর তথ্য বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে এটি মানব দেহের পক্ষে নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়েছে দেশের ১১-১৫ টি জায়গায়। পাশাপাশি এটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হচ্ছে ২২-২৭টি জায়গায়। প্রসঙ্গত, শোনা যাচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে এটির সাফল্য মিলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে শীঘ্রই বাজারে এসে যাবে।


মেসেঞ্জার আরএনএ-কে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে জেনোভার ভ্য়াকসিন। আরএনএ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন দিয়েই তৈরি হয়েছে এটি। দেহকোষে ঢুকলে এটি ভাইরাল প্রোটিনের মতোই প্রোটিন তৈরি করতে কোষকে উত্তেজিত করতে পারবে। ভ্যাকসিনে থাকা জিনের বিন্য়াস অনুযায়ী দেহকোষও তৈরি করবে স্পাইক প্রোটিন। সেই প্রোটিনকে ঠেকাতে সক্রিয় হয়ে উঠবে কোষের বি ও টি সেল। বি সেল থেকে তৈরি হবে অ্যান্টিবডি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)