নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউন দীর্ঘমেয়াদী হলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ভরসা জোগাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের চাঞ্চল্যকর দাবি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন একটি সস্তা, সহজলভ্য ওষুধের খোঁজ দিয়েছেন যা ভেন্টিলেশনে থাকা করোনা রোগীকেও সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিতে পারে এই ওষুধ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি স্টেরয়েড ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone) প্রয়োগ করে ভেন্টিলেশনে থাকা করোনা রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে করোনা রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছে এই ওষুধ। অক্সফোর্ডের গবেষকদের দাবি, অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঝুঁকিও প্রায় পাঁচ ভাগ কমাতে সক্ষম এই কম ডোজের স্টেরয়েড।



অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানান, ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone) এমন একটি স্টেরয়েড যা বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য। যে কোনও দীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটেনের ২১০৪ জন করোনা আক্রান্তের উপর প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে এই ওষুধ। প্রতিদিন একবার করে ৬ মিলিগ্রাম করে ডেক্সামেথাসোন দেওয়া হয় ওই করোনা রোগীদের। স্থিতিশীল রোগীদের এই ওষুধ খাওয়ানো হয় আর ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ইনজেকশনের মাধ্যমে ডেক্সামেথাসোন দেওয়া হয়।


এই ২১০৪ জনের সঙ্গে অন্য আরও ৪,৩২১ জন করোনা আক্রান্তের স্বাস্থ্যের তুলনা করে দেখেন গবেষকরা। মোয ২৮ দিনের পর্যবেক্ষণের পর অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানান, ডেক্সামেথাসোন ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মৃত্যুর হার কমিয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এই ওষুধের প্রয়োগে অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্থিতিশীল করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।


আরও পড়ুন: ভারতেই শুরু হচ্ছে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা উৎপাদনের কাজ! বরাদ্দ ৭৫০ কোটি টাকা


সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার হর্বি বলেন, “ডেক্সামেথাসোন হল প্রথম ওষুধ যা আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।” ব্রিটেন সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্স জানান, এটি একটি অভাবনীয় সাফল্য! করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সস্তা এই ওষুধটি বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই উপলব্ধ। ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইযা এখন আরও সহজ হবে।