নিজস্ব প্রতিবেদন: গত সপ্তাহেই রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অগাস্ট মাসেই বাজারে টিকা ছাড়ার আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়ে গিয়েছে। দ্রত গতিতে চলছে টিকা উৎপাদনের কাজ। এ বছরের মধ্যেই সাড়ে ৪ কোটিরও বেশি পরিমাণ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করতে পারবে রাশিয়া। অক্টোবর থেকেই দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে করোনার টিকা দেওয়ার কথা জানায় রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর পরই এ বিষয়ে WHO-এর প্রতিক্রিয়া সামনে আসে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার WHO-এর মুখপাত্র খ্রিশ্চিয়ান লিন্ডমিয়ার জানান, ওষুধ হোক বা টিকা, বাজারে ছাড়ার আগে সেগুলির সুরক্ষা ও কার্যকারিতার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা বাঞ্ছনীয়। বৃহত্তর ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাশিয়াকে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি, প্রতিষ্ঠিত সুরক্ষা বিষয়ক সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।


এ দিকে মার্কিন অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ অ্যান্থনি ফৌসি রাশিয়া ও চিনের তৈরি প্রতিষেধকের সুরক্ষা, কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বলে রাখা ভাল, ১৯৮৪ সাল থেকেই আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেক্সাস ডিজিজ-এর ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ডঃ ফৌসি। অন্যদিকে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, রুশ বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকা ব্রিটেনেও সম্ভবত প্রয়োগ করা হবে না। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও চিনের তৈরি প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল এখনও বাকি। কিন্তু এই দুই দেশেই টিকার চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের আগেই সেগুলিকে বাজারে ছাড়ার বা প্রয়োগের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: সুরক্ষার সঙ্গে আপোষ নয়! করোনার টিকা তৈরির ক্ষেত্রে রাশিয়াকে সঠিক পদ্ধতি মেনে চলতে বলল WHO


আদৌ কি প্রতিষেধক তৈরিতে সমস্ত সুরক্ষা, কার্যকারিতা পরীক্ষার নিয়ম-কানুন মানা হয়েছে রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকার ক্ষেত্রে? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিক্রিয়া সামনে আসার পর করোনা প্রতিষেধকের সুরক্ষা, কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাশিয়া ও চিন।