নিজস্ব প্রতিবেদন: এখন যে কোনও ফার্মেসিতেই প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট পাওয়া যায়। এই কিট-এর সাহায্যে সহজেই গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করে ফেলতে পারেন যে কোন মহিলা। এই কিট-এর সাহায্যে মাত্র কয়েক মিনিটেই জেনে যাওয়া যায় যে কোনও মহিলা গর্ভবতী কিনা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাজার চলতি এই সব প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট-এর ইতিহাস তো হালফিলের। কিন্তু যখন এই সব প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট ছিল না বা আবিষ্কারই হয়নি, তখন কী ভাবে নির্ধারণ করা হত যে কোনও মহিলা গর্ভবতী কিনা?


ইতিহাস বলছে, আছ থেকে প্রায় ৬০০০ বছর আগে মানুষের প্রসাব বা মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভাবস্থা শনাক্ত করার পদ্ধতি আবিষ্কার হয় মিশরে। যদি কোনও মহিলার সময় মতো মাসিক বা ঋতুস্রাব না হতো, তাহলে ধারনা করা হত সে গর্ভবতী। এ ক্ষেত্রে ওই মহিলা গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত হতে তাকে সুরা (অ্যালকোহল) ও খেজুর খাওয়ানো হত, যতক্ষণ না সে বমি করত। যদি সে নারী খুব দ্রুত বার বার বমি করত তাহলে ধারনা করা হত সে গর্ভবতী। এর পর আসে গম-বার্লি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোনও মহিলা গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত হতে তাকে একটি পাত্রে রাখা গম-বার্লির উপর প্রশ্রাব করতে বলা হতো। যদি মূত্রে থাকা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বীজ অঙ্কুরিত হতো, তা হলে মনে করা হতো যে ওই মহিলা সন্তানসম্ভবা।


এ বার জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতি, যা বলে দেবে কোনও মহিলা সন্তানসম্ভবা কিনা।


১) ব্লিচ পরীক্ষা: একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে ব্লিচ মেশান। যদি ফেনা হতে শুরু করে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।


২) টুথপেস্ট পরীক্ষা: একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে এক চামচ টুথপেস্ট মেশান। যদি টুথপেস্ট নীল হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।


৩) ভিনিগার পরীক্ষা: প্লাস্টিকের কাপে ভিনিগার ও প্রশ্রাব মেশান। যদি বুদবুদ তৈরি হয় আর মিশ্রণের রঙে পরিবর্তন ঘটে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।


৪) চিনি: একটা বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে দু’-তিন চামচ চিনির দানা মেশান। যদি চিনি গলে না গিয়ে দলা পাকাতে বা জমাট বাঁধতে শুরু করে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।


তবে এই সব পদ্ধতিতে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা সম্ভব আপনি সন্তানসম্ভবা কিনা। নিশ্চিত হতে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।