নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যান্সারে আক্রান্তকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা খুবই জরুরী। কিন্তু কিছু কিছু ক্যান্সার রয়েছে যেগুলো প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। তাই এ সব ক্যান্সারে বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্তকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। জেনে নিন তেমনই ৭টি ক্যান্সারের কথা...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) কিডনির ক্যান্সার: কিডনির ক্যান্সারের উপসর্গগুলো হল, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, সার্বক্ষণিক ক্লান্তি, অকারণে ওজন কমে যাওয়া এবং মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত। কিডনি শরীরের অনেক ভেতরে বলে এতে টিউমার হলেও সাধারণ শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। আর কিডনি ক্যান্সারের জন্য নিয়মিত করানো যায় তেমন কোনও পরীক্ষাও নেই।


২) প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ এতে আক্রান্ত হন। কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের তুলনায় এতেই মানুষের মৃত্যু হয় বেশি। প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারটি শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কারণ, তা শরীরের ভেতরে হয়, প্রাথমিক ভাবে ব্যথা হয় না, আর এর তেমন কোনও উপসর্গও দেখা যায় না।  অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও সাধারণ জন্ডিসের মতোই উপসর্গ দেখা দিতে পারে।


৩) ওভারিয়ান ক্যান্সার: মহিলারা যত রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হল জরায়ু বা ওভারিয়ান ক্যান্সার। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ২০ শতাংশ ওভারিয়ান ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়।  মূলত, পেটের ভেতরে থাকার কারণে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনও উপসর্গ না থাকায় তা শনাক্ত করা কঠিন।  সাধারণত তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজের পর তা শনাক্ত হয়।


৪) লাং ক্যান্সার: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাং ক্যান্সার বা ফুসফুসের ক্যান্সার ছড়িয়ে যাবার পড়েই ধরা পড়ে। কাশি, নিউমোনিয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, রক্ত এবং লিম্ফ সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে ততদিনে। ফুসফুসের ক্যান্সারও প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না কারণ, এর তেমন কোনও উপসর্গ থাকে না এমনকি চেস্ট এক্সরেতেও ধরা পড়ে না।  পিইটি বা সিটি স্ক্যানে তা ধরা পড়তে পারে।  শেষ দিকে ধরা পড়লে ফুসফুস ক্যান্সারে বাঁচার সম্ভাবনা কম।


৫) লিভার ক্যান্সার: একেবারে শেষের দিকে এর উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার ক্যান্সার শনাক্ত করা বেশ কঠিন। টিউমারটি যদি ছোট হয় তাহলে ভালভাবে বোঝা যায় না। কারণ, লিভারের বেশিরভাগটাই পাঁজরের নিচে ঢাকা থাকে। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই সতর্ক থাকা ও নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা খুবই জরুরী।


৬) ব্রেন ক্যান্সার: মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের টিউমার শনাক্ত করা যায় তখনই যখন এর উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এসব উপসর্গ এতই সাধারণ যে তাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না আক্রান্তরা।  যেমন, হাত কাঁপা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ব্যক্তিত্বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ইত্যাদি। ব্রেন ক্যান্সারের আরেকটি উপসর্গ হল মাথাব্যথা।  সাধারণত এমআরআই বা মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান ছাড়া ব্রেন ক্যান্সার ধরা পড়ে না।


৭) সার্কোমা: শরীরের বিভিন্ন টিস্যু যেমন চর্বি, পেশী, ত্বকের গভীরের কোষ, হাড় বা তরুনাস্থিতে হয় সার্কোমা ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। সাধারণত শিশুদের মধ্যেই এ ক্যান্সারটি বেশি দেখা যায়।  এই ক্যান্সার সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্টেজের পর বায়োপসির মাধ্যমে তা শনাক্ত করা যায়। কিন্তু অন্য কোনও পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায় না।