নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেক সময় একই চেহারার দুইজন মানুষকে দেখে আমরা থমকে যাই। কিছু ক্ষণ পর অবশ্য বুঝে যাই যে তারা যমজ। যমজ মানুষদেরকে নিয়ে কিন্তু আমাদের সবারই কিছুটা কৌতূহল কাজ করে, আর সেটাই মনে হয় স্বাভাবিক। যমজ সন্তানের মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়ে ‘জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, যে সব মহিলাদের উচ্চতা বেশি তাদের যমজ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনাও বেশি! ভাবছেন, মায়ের উচ্চতার সঙ্গে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক কি! সম্পর্ক আছে। আমাদের শরীরের বেড়ে ওঠার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় কাজ করে, যেগুলিকে “গ্রোথ-ফ্যাক্টর” বলা হয়, যে বিষয়গুলির একটি হচ্ছে ইনসুলিন নামের এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন। এই ইনসুলিন বোন সেল (Bon cells)-এর বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে একই সঙ্গে মেয়েদের লম্বা হবার প্রবণতা ও যমজ সন্তান জন্মদানের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রিত করে। যমজদের ব্যপারে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য বের হয়ে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। যেমন...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ব্রণ, ফুসকুড়ি নিরাময়ে সেরা ১০টি ভেষজ উপায়


১) একই ধরণের চেহারার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যমজদের মধ্যে আচরণগত ভিন্নতা: বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ বলে একটা কথা আছে। যে সব যমজের দেখতে হুবহু একই রকম, তাঁদের ক্ষেত্রেই ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এদের শরীরে একই ধরণের জিন বহন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁদের আচরণ সম্পূর্ণ আলাদা। গবেষকদের মতে, একই চেহারার যমজদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য তাঁদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী হতে পারে। পরিবেশের কারণে, এই যমজদের শরীরে থাকা জিন-এ কিছু পরিবর্তন চলে আসে। যার ফলে যমজদের আচরণ আলাদা হয়ে যায়।


২) দেখতে হুবহু একই হলেও যমজদের হাতের রেখায় থাকে ভিন্নতা: আপাত ভাবে দেখতে অনেক যমজ প্রায় একই রকম হলেও তাঁদের হাতের রেখায় পার্থক্য থাকে। সেই সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় অবস্থানগত সামান্য ভিন্নতা জন্মের পর যমজদের বিভিন্ন সূক্ষ্ম দৈহিক পার্থক্যের কারণ হতে পারে।


আরও পড়ুন: দিনে কত বার মুখ ধোয়া জরুরি আর কখন ক্ষতিকর জানেন?


৩) শরীরের ঘ্রাণ শুঁকে যমজদের আলাদাভাবে চিনতে পারে কুকুর: সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হুবহু একই চেহারার যমজদের আলাদা করতে পারেন না। কিন্তু প্রশিক্ষিত কুকুরদের জন্য এটা তেমন কোনও ব্যপারই নয়। তারা শরীরের গন্ধ শুঁকে একই চেহারার ভিন্ন চেহারার যমজদের আলাদা করে চিনতে পারে। ব্যপারটা বেশ মজার, তাই না!


৪) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান: অনেকেই জেনে অবাক হবেন, সাম্প্রতিককালে যমজ সন্তান জন্মের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৭৬ শতাংশ। ১৯৮০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যভূমিষ্ঠ প্রতি ৫৩ শিশুর মধ্যে একজন যমজ হত। ২০০৯ সালের হিসেবে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন। এর কারণ কি? গবেষকদের মতে, প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমান বিভিন্ন চিকিৎসা-প্রচেষ্টা অধিক ব্যবহার। একই সঙ্গে ত্রিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যেও দিন দিন যমজ সন্তান জন্মদানের প্রবণতা বাড়ছে।