নিজস্ব প্রতিবেদন: অ্যানাল ফিশার খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। পায়ু পথের চারপাশে ফাটল সৃষ্টি হওয়াই হচ্ছে অ্যানাল ফিশার। যে কোনও বয়সের মানুষেরই অ্যানাল ফিশার হতে পারে। যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের অ্যানাল ফিশার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। অ্যানাল ফিশার হলে মলত্যাগের সময় ও মলত্যাগের পরে সাংঘাতিক যন্ত্রণা হয়। এ ছাড়াও মলত্যাগের পর রক্তপাত হয় এবং পায়ু পথের চারপাশে চুলকানি হয়। ওষুধ খেয়ে সাময়িক ভাবে অ্যানাল ফিশারের সমস্যায় উপকার পাওয়া গেলেও এই সমস্যা পুরোপুরি নিরাময় হয় না। তাই অনেক সময় চিকিত্সকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে যা অনুসরণ করে অ্যানাল ফিশারের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রচুর আঁশ (ফাইবার) আছে এমন ফলমূল যেমন, আপেল, আনারস, কমলালেবু, আঙ্গুর, পেঁপে, নাশপাতি ইত্যাদি নিয়মিত খান। ফাইবার সমৃদ্ধ শাক-সবজি যেমন, - যে কোনও সবুজ শাক, গাজর, বাধাকপি, মটরশুটি, কুমড়া, ডাল, টমেটো ইত্যাদি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। ফলে অ্যানাল ফিশারও ধীরে ধীরে ভাল সেরে যাবে।


২) প্রচুর জল পান করুন: দৈনিক ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করুন। জল পরিপাকতন্ত্রকে পরিস্কার করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। জল শরীরে উৎপন্ন টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরকে বিষ মুক্ত করতে সাহায্য করে। খাওয়ার সময় জল পান করা ঠিক নয়। কারণ, জল পাচক রসকে দ্রবীভূত করে দেয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে বা এক ঘণ্টা পরে জল পান করা উচিৎ।


৩) নিয়মিত ব্যায়াম করুন: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম করা দরকার। যাদের অ্যানাল ফিশার আছে তাঁরা দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিৎ। যেমন, হাঁটা, ব্যাডমিন্টন খেলা, ঘরের কাজ করা, বাগান করা ইত্যাদি।


৪) মলদ্বারে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন: যাদের অ্যানাল ফিশারের সমস্যা আছে তারা মলদ্বারে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে মলত্যাগের সময় ব্যথা হবে না।


৫) গরম জলের সেঁক নেওয়া: অ্যানাল ফিশার-এর রোগীরা মলত্যাগের পর বাথটবে বা বড় প্লাস্টিকের গামলায় সামান্য উষ্ণ গরম জল নিয়ে তাঁর মধ্যে ১৫ মিনিট কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে বসে থাকুন, এতে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।


সতর্কতা: অ্যানাল ফিশার-এর রোগীদের চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার যেমন,- বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি না খাওয়াই ভাল। কারণ, চিনি ভিটামিন বি কে নষ্ট করে দেয়। ফলে অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং হজম এ সমস্যা সৃষ্টি করে।