কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্যে যথাযথ ব্যবস্থা বা সতর্কতা অবলম্বন না-করলে তা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে প্রতিদিন শরীর থেকে মল স্বাভাবিক ভাবে নির্গত হতে পারে না। পেট ভরে কিছু খাওয়ার ক্ষেত্রেও সব সময় যেন একটা ভয় তাড়া করে বেড়ায়। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ:


১. জল কম খেলে।


২. ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল কম খেলে।


আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? এই খাবারগুলি এড়িয়ে চললে উপকার পাবেন


৩. মস্তিষ্কে টিউমার হলে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে।


৪. কায়িক পরিশ্রম, হাঁটা-চলা বা শরীরচর্চা একেবারেই না করলে।


৫. অত্যাধিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদের ফলে।


৬. অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার হলে।


৭. দীর্ঘদিন কোনও অসুস্থতার কারণে বিছানায় শুয়ে থাকলে।


৮. ডায়াবেটিস হলে।


৯. দুগ্ধজাত খাদ্য যেমন, ছানা, পনির ইত্যাদি অত্যাধিক পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে অনেকের।


আরও পড়ুন: জানেন কখন জল খাওয়া শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর?


এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও কখনও সখনও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন,


ব্যথার ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, খিঁচুনির ওষুধ সেবনের ফলেও এই সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এ ছাড়াও, যে সব ওষুধের মধ্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামজাতীয় খনিজ পদার্থ থাকে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্নায়ু বা হরমোনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্যও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।