নিজস্ব প্রতিবেদন: হার্টের সমস্যা? একগাদা ওষুধ খেয়েও কমছে না কোলেস্টেরল? পোস্ত খান। প্রতিদিন পাতে থাক পোস্ত। হার্ট ভাল রাখতে পোস্তর জুড়ি নেই। ওবেসিটি বা স্থুলতা, ভুল খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চায় অনীহা এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বুঝতে হবে আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি কমাতে কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন। এরই সঙ্গে নিয়মিত যদি পোস্ত খাওয়া যায়, তাহলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। শুধু হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যাই নয়, শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই খাদ্য উপাদানটি খুবই কার্যকরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু রসনার তৃপ্তিই নয়, নানা গুণে ভরা পোস্ত শুধু জিভের স্বাদই পূর্ণ করে না, শরীরও রাখে চাঙ্গা। কারণ, পোস্ততে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং মিনারেল।


নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় পোস্তর কার্যকারীতা:


• পোস্ত দানা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। মুখের আলসার প্রতিরোধ করে। পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে মুখে আলসারের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।


• পোস্তয় থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।


• পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। শুকনো ভাতের সঙ্গে পোস্তবাটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে আরাম পাওয়া যায়।


• পোস্তয় থাকা প্রচুর জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


• আবহাওয়া বদলের সময় শুকনো কাশি সেরে যায় পোস্ত দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারে। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ পোস্ত নারকেল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শুকনো কাশি দ্রুত কমে যায়।


• পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।


• পোস্তয় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ। হার্ট অ্যাটাক কমাতে রোজ ডায়েটে অল্প হলেও পোস্ত রাখা জরুরি।


• ক্যালসিয়াম, আয়রন আর কপার থাকায় মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় পোস্ত।


• উত্তেজনা কম করে, অনিদ্রা দূর করতে চায়ের কাপে দিন কয়েক দানা পোস্ত। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে খান পোস্ত দেওয়া চা, দারুন ঘুম হবে।