নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘুম থেকে উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের ‘হ্যালো’ বা ‘গুডমর্নিং’ বলার ইচ্ছে হল। ব্যস...সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ক্যামেরা অন করে, সেটাকে মুখের সামনে তুলে ধরেই খ্যাচাত্। ছবি পোস্ট করে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অফিসে কাজের ফাঁকে মনে হল, টুক করে একটু দেখে নেওয়া যাক কেমন দেখতে লাগছে নিজেকে! মোবাইল ক্যামেরা অন করে, সেটাকে মুখের সামনে তুলে ধরে আবার ক্লিক। ডেটে গিয়েছেন কোনও শপিং মলে, একে অপরের খুব কাছাকাছি (কখনও জরিয়ে ধরে) টুক করে একটা সেলফি। উইক এন্ডে কোনও রেস্তোরাঁয় গেলেন, সেখানকার মায়াবি আলোয় দু-একটা সেলফি না তুললেই নয়! ঠিক এমন করেই কখনও পাউট, কখনও ভ্রু নাচিয়ে, কখনও অন্যদিকে তাকিয়ে...এমন নানা কারণে, নানা ভঙ্গিতে সেলফি তোলা চলতেই থাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ফেরাতে খেয়ে দেখুন ঝিঁঝিঁ পোকা, বলছেন বিজ্ঞানীরা!


এমন অভ্যাস কি আপনারও রয়েছে? তাহলে কিন্তু এখনই সতর্ক হয়ে যান! চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা (ডারমাটোলজিস্ট) জানাচ্ছেন, সেলফির প্রতি এই রকম অত্যাধিক আকর্ষণের ফল অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে আমাদের ত্বকের জন্য। বার বার সেলফি তোলার ফলে স্মার্টফোনের আলো ও রেডিয়েশন সরাসরি পড়ে মুখের উপর। এর ফলে ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। যার ফলে অকালেই বয়স্ক দেখায়।


ব্রিটিশ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সিমন জোয়াকির মতে, মুখের কোন দিক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখেই চিকিত্সকরা বলে দিতে পারেন আপনি ঠিক কোন হাতে ফোন ধরে সেলফি তোলেন। যাঁরা খুব বেশি সেলফি তোলেন তাঁরা এখনই সতর্ক হয়ে যান। কারণ, স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলোও আমাদের ত্বকের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।


আরও পড়ুন: দাড়ি কাটার পর এই কাজটি আপনার ত্বকের ক্ষতি করে চলেছে!


সিমনের সঙ্গে এক মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওবাগি স্কিন হেলথ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জেন ওবাগিও। তিনি বলেন, ‘‘মোবাইল ফোন থেকে নির্গত তড়িচ্চুম্বকিয় বিকিরণ (ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন) ত্বকের ডিএনএ-র গঠন নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। মুখের ত্বক হয়ে ওঠে নির্জীব, রুক্ষ। এ ছাড়াও, আলোর চৌম্বক ক্ষেত্রের (ম্যাগনেটিক ফিল্ড) প্রভাবে ত্বকের আদ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।’’ তাই অকালে চেহারায় বার্দ্ধক্যের ছাপ পড়া রোধ করতে চাইলে মাত্রাতিরিক্ত সেলফি তোলা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।