নিজস্ব প্রতিবেদন: যৌন জীবন আপনার বিবাহিত জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দাম্পত্য সম্পর্কের স্বাস্থ্য এর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এ জন্য যেমন সুস্থ যৌনতা সম্পর্কে পরিমিতি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এতদিন আমাদের বেশির ভাগ মানুষেরই একটা ধারণা ছিল যে, যৌনতা বা যৌন সম্পর্ক থেকেই ছড়াতে পারে নানা রকম সংক্রমণ। কিন্তু সম্প্রতি একদল ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে যৌনতায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইংল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক-দল দাবি করেছে, যৌন সম্পর্কই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। তাঁরা প্রায় ছয় হাজার জল-মাছির উপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।


এই ব্রিটিশ গবেষকরা জানাচ্ছেন, জল-মাছিরা দু’ভাবে প্রজনন করে। এক, তারা ক্লোন তৈরি করে এবং দুই, যৌন প্রজনও চালিয়ে। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, ক্লোনের ফলে জন্ম নেওয়া মাছিগুলিকে কিছু সংক্রামক পরজীবীর সংস্পর্শে রাখলে সেগুলি দ্রুত সংক্রমিত হয়। কিন্তু, যৌন জননের ফলে জন্ম নেওয়া মাছিদের ওই পরজীবীদের সংস্পর্শ রাখা হলে দেখা যায়, তারা সহজে সংক্রমিত হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সংক্রমণকে প্রতিরোধ করেই তারা বেঁচে আছে।


ব্রিটিশ গবেষক স্টুয়ার্ট অল্ড জানিয়েছেন, সুস্থ যৌনতার জন্য চাই যথাযথ উদ্দম এবং শারীরিক স্ফূর্তি। আর এই স্ফূর্তি ও উদ্দমের জন্য প্রয়োজন সুষম আহারের। তাঁর মতে, প্রকৃত কোনও সমস্যা না-থাকলে যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনও রকম ওষুধেরই প্রয়োজন হয় না। আর সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যৌনতার বিকল্প কিছু হতে পারে না। গবেষণালব্ধ ধারণা অনুযায়ী, প্রজননের স্বাভাবিক বিধি অর্থাৎ যৌনতা-পরবর্তী প্রজন্মকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে।


তবে স্টুয়ার্ট অল্ড বা স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার সঙ্গে একমত হতে পারেননি বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী। তাঁদের মতে অনিয়ন্ত্রিত এবং অসুরক্ষিত যৌনতা যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যৌনতাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক পদ্ধতি। তবে আধুনিক বিজ্ঞান সমৃদ্ধ যুগে তা কখনওই একমাত্র উপায় নয়।