দেশে ঝড়ের গতিতে টিকাকরণ সম্ভব হল ১ দিন, মুখ থুবড়ে পড়ল মঙ্গলবারই
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরই টিকাকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে আদৌ কি দ্রুত টিকাকরণ পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার পৃথক কর্মসূচি নিয়ে জোর কদমে শুরু হল টিকাকরণ। মূলত আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অঙ্গীকারবদ্ধ অন্যতম টিকাকরণ কর্মসূচি ছিল ২১ জুন। ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণের প্রথম দিন রেকর্ড সংখ্যায় টিকাকরণ হয় দেশে। কিন্তু, দ্বিতীয় দিনেই তা যেন মুখ থুবড়ে পড়ল। সোমবার টিকা নিয়েছেন ৮৬ লক্ষের বেশি মানুষ। কিন্তু, মঙ্গলবার সেই সংখ্যা পৌঁছে যায় ৫৪.২৪ লক্ষে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরই টিকাকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে আদৌ কি দ্রুত টিকাকরণ পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
টিকাকরণ কেন কমে গেল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, রাজ্যগুলিতে সমসংখ্যায় টিকার জোগান নেই। টিকাকরণে কোনও একদিন রেকর্ড করতে গেলে আগে থেকে মজুত রাখতে হবে টিকা। একাংশের অভিযোগ ২১ জুন সব থেকে বেশি টিকা দেওয়া ১০টি রাজ্যের মধ্যে ৭টি রাজ্য বিজেপি শাসিত। তাই সেখানে ভ্যাকসিনের জোগান ছিল।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ, দিনে আক্রান্ত হবে ৫ লক্ষ: IIT কানপুর
১৬ জুন দেশে টিকা পেয়েছেন ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৬১ জন।
১৭ জুন দেশে টিকা পেয়েছেন ৩২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩ জন।
১৮ জুন দেশে টিকা পেয়েছেন ৩৩ লক্ষ ৮৫ জন।
১৯ জুন দেশে টিকা পেয়েছেন ৩৮ লক্ষ ১০ হাজার ৫৫৪ জন
২০ জন দেশে টিকা পেয়েছেন ৩০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৯৬ জন।
আরও পড়ুন: ২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরে! জানালেন AIIMS প্রধান
কিন্তু, ২১ জুন সেই সংখ্যা পৌঁছে যায় ৮৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৭৩ জনে। সাধারণত, প্রত্যেকদিন গড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ করে এতদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ২২ জুন সারা দেশে টিকা পেয়েছেন ৫৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৭৪ জন।
কেন্দ্র যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। তা পূরণ করতে প্রত্যেকদিন ৯৭ লক্ষ মানুষকে টিকা দিতে হবে। তবে, এই ক্ষেত্রেই টিকার জোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।