মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার পার করেছে। তার পর থেকে রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা নিয়ে মানুষ অনেকটাই উদাসীন হয়ে পড়লেও রাজ্যে ডেঙ্গু বাড়ছে জোর কদমে। রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেন আরও ৭২৫ জন। সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, এই মূহুর্তে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রয়েছেন ৭৬১ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। ফলে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে রাজ্যজুড়ে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানে হয়েছে পুজোর মধ্যেও খোলা থাকছে জেলার কন্ট্রোল রুমগুলি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা সেখান থেকে সব সাহায্য পাবেন। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কল সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখান থেকেও সাহায্য পাবেন রোগীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


এদিকে, আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি উড়িয়ে দেওয়া যাবে না ডেঙ্গিতে মৃত্য়ুর সংখ্য়াকে। এখনওপর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে ১৯ জনের। ফলে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে পুজোর পুরনো ফর্মে ফেরা বাঙালিকে এনিয়ে এবার ভাবতেই হচ্ছে। 


পুজোতেও ডেঙ্গির দাপটের কথা মাথায় রেখে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এদিন শহরের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যবরেটরিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নিজে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।  ওই বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে যখন কোনও ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হবেন তার তথ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে। সেই তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে আপলোড করতে হবে। চিকিত্সা ক্ষেত্রে কোনও Rapid টেস্ট করা যাবে না। একেবারে অ্যালাইজা মেথডে এনএসওয়ান টেস্ট করতে হবে। এর পাশাপাশি বেসরকারি ল্যাবগুলিকে বলা হয়েছে ডেঙ্গি পরীক্ষা রেট সাধারণের আয়ত্বের মধ্যে রাখতে হবে। কোনও ল্যাব ওই নির্দেশিকা না মানলে ক্লিনিক্যাল এসট্যাবলিসমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডেঙ্গি চিকিত্সার জন্য সরকারি প্রটোকল মেনে চলতে হবে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন শিশুদের ফুলহাতা জামা পরিয়ে বাইরে বের করতে হবে। মশারি ছাড়া তাদের শোয়ানো যাবে না। ভোরে ও সন্ধেয় তাদের উপরে বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ ওই সময়ে ডেঙ্গির মশা বেশ সক্রিয় থাকে। জ্বর এলে প্যারাসিটামল খাবে। তবে কোনও ব্যথার ওষুধ নয়। যত দ্রুত সম্ভব রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গির আক্রমণ থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল আগাছা পরিষ্কার রাখা। এর পাশাপাশি নিজের বাসস্থানের আশেপাশে এবং রাস্তায় যাতে অতিরিক্ত জল না জমে সেই দিকে নজর রাখা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)