জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়েস্ট নাইল (West Nile) জ্বর নিয়ে সতর্কবার্তা কেরালায়। নাইল ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই জ্বরে আক্রান্ত অন্তত ১০ জন। মশার কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। কেরলের তিনটি জেলা- মালাপ্পুরম, কোঝিকোড় ও থ্রিশূরে এই জ্বরের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করে কেরালা স্বাস্থ্য দফতর রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: স্বস্তির বৃষ্টি নিয়ে এল ধ্বংস! ঝড়ে-শিলাবৃষ্টিতে তছনছ কলকাতা...


কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, মশাবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে, সেজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে বিবিধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি বিশেষ দল এলাকায় মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে।


কী এই 'ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস'?


ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বা ডব্লিউএনভি (WNV)-কে ওয়েস্ট নাইল আরএনএ ভাইরাসও বলে। সাধারণত কিউলেক্স মশা থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়ায়। পাখির দেহ থেকে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ঢোকে মানুষের শরীরে। সুদূর আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি। চরিত্রগত দিক থেকে রোগটি জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের মতো বলে বলছেন বিশেষজ্ঞেরা।


কী ভাবে ছড়ায়? 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত পরিযায়ী পাখিরা এই ভাইরাস বহন করে। তারপর তা মশার মাধ্যমে মানুষ ও অন্যান্য পশুপাখির শরীরে ঢোকে। শরীরে ভাইরাস ঢোকার মোটামুটি এক সপ্তাহ পর থেকে উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।


উপসর্গ কী কী?


তেমন চোখে পড়ার মতো কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায় না। ভাইরাসের আক্রমণে প্রাথমিকভাবে জ্বর আসে, মাথার যন্ত্রণা হয়, গায়ে র‌্যাশও বেরোতে দেখা যায় কারও কারও ক্ষেত্রে। গ্ল্যান্ডের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। লক্ষ্মণগুলি কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।


বিপদ কতটা?


নাইল ভাইরাস যদি কোনও ক্রমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় তাহলেই বিপদ। মস্তিষ্কে পৌঁছলেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সেই সংক্রমণ মস্তিষ্ক ছাড়িয়ে পড়ে সুষুম্নাকাণ্ডে। যার জেরে স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে। সেই সংক্রমণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।


চিকিৎসা আছে?


আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে দুরন্ত বৈশাখী ঝড়! কেন জারি কমলা সতর্কতা?


মানুষের দেহে এই রোগ হলে তা নিরাময়ের কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি! কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর স্নায়ুতন্ত্র যাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে না পড়ে সেজন্য নিউরো-ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় মাত্র। সঙ্গে বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমও দিতে হয়। এইটুকুই।


(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)