নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। চিন ছাড়াও আরও ১২টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। চিনে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২,০০০ জনের, আক্রান্ত ৭০ হাজারেরও বেশি। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত গোটা বিশ্ব। আরও বেশি চিন্তার কারণ হল, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনও মেলেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গবেষকরা মনে করছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি ১,০০০ জনের মধ্যে ৫ থেকে ৪০ জনের মৃত্যু হতে পারে। বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশের মতে, প্রতি ১,০০০ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হতে পারে। অর্থাৎ, এই হিসাব অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে রোগী মৃত্যুর হার ১ শতাংশেরও কম। যদিও তাঁরা জানাচ্ছেন, এই মৃত্যুর বিষয়টি আরও অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন, রোগীর বয়স, লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা ইত্যাদি।


করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার নির্ধারণ করা কতটা সম্ভব?


বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার নিশ্চিত ভাবে বলাটা বেশ কঠিন। এমনকি কতজন রোগীর মৃত্যু হল, তা-ও স্পষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে। কারণ, বেশির ভাগ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হিসাবের বাইরেই থেকে যায়। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ রোগীই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। এই ভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গগুলির ভিন্নতার কারণে গোটা বিশ্বেই এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যাটা সামনে আসে না।


আরও পড়ুন: চাইনিজ ফুড করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?


লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তের ক্ষেত্রে কিছু দেশ পারদর্শী হলেও বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এর তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে আক্রান্তের হিসাব রাখাটা বেশ কঠিন। তাই মোট আক্রান্তের সংখ্যা সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করা না গেলে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।


এই ভাইরাসে কাদের প্রাণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?


চিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের শিকার ৪৪ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রথম যে বিশদ বিশ্লেষণটি পাওয়া যায় সেটি হল, মধ্য বয়সীদের তুলনায় বয়ো-বৃদ্ধদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ১০ গুণ বেশি। ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম, ৪,৫০০ জন আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে, তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৫ গুণ বেশি।