নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিষেধক হাতে আসার আগেই করোনার চিকিৎসায় সস্তার ‘জীবনদায়ী’ ওষুধের খোঁজ দিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। করোনার চিকিৎসায় বহুল প্রচলিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি স্টেরয়েড ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone)-এর ‘জীবনদায়ী’ প্রভাবের প্রমাণ দিয়েছেন ব্রিটিশ গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার চিকিৎসায় অক্সফোর্ডের গবেষকদের এই অভূতপূর্ব খোঁজ নিয়ে উচ্ছসিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, ওষুধ প্রয়োগে ভেন্টিলেশন বা অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া মরনাপন্ন করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার এতটা কমানোর ঘটনা এই প্রথম। এটা করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটাবে বলে মন্তব্য করেন WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল! এ বার মরনাপন্ন করোনা রোগীদের বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে ডেক্সামেথাসোনের উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানালেন টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস।


বিশ্ব জুরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক দিনে বিশ্বের ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর হার কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়ে উঠতে পারে এই স্টেরয়েড। তাই বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশকে জরুরি ভিত্তিতে ডেক্সামেথাসোনের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


অক্সফোর্ডের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone) প্রয়োগ করে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মৃত্যুর হার কমানো গিয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এই ওষুধের প্রয়োগে অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্থিতিশীল করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।


আরও পড়ুন: করোনার চিকিৎসায় নতুন ‘অস্ত্র’ হাতে পেল ভারত! শক্তিশালী ওষুধ Cipremi বাজারে ছাড়ল Cipla


WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, এটা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে, করোনার চিকিৎসায় ‘জীবনদায়ী’ প্রমাণিত হওয়া এই স্টেরয়েডের দাম খুবই সামান্য (ভারতীয় মূল্যে মোটামুটি ২০ টাকা) এবং বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই ওষুধ অত্যন্ত সহজলভ্য। তাই গুরুতর অসুস্থ বা মরনাপন্ন করোনা রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে ডেক্সামেথাসোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।