জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবারও কি এসে গেল করোনার দিন? ভারতে সিঙ্গাপুরে সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছিলই। এবার বিশ্ব জুড়ে নানা জায়গায় করোনার নতুন ধরনের বাড়াবাড়ি। করোনার অমিক্রন ধরনের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্ব জুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জেএন.১। দ্রুত ছড়ানোর কারণে এটিকে 'ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট' হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Covid New Strain: লাফিয়ে বাড়ছে কোভিডের নয়া স্ট্রেইনের দাপট, বাড়ছে মৃত্যুও


ভারত, চিন, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্ব জুড়ে অনেক দেশে করোনার জেএন.১ ধরন পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং যে-টিকাগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেগুলিই করোনার এই নতুন ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।


তবে হু-র তরফ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং এ-জাতীয় অন্য সংক্রমণগুলির প্রকোপ বাড়তে পারে। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যেই শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ চালানো ভাইরাস এবং শিশুদের নিউমোনিয়ার হার বাড়তেও দেখা গিয়েছে। কোভিডের জন্য দায়ী ভাইরাসটি শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে তার রূপ পাল্টে নিয়েছে। এর কয়েকটি নতুন ধরনও তৈরি হয়েছে। তবে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন জেএন.১-সহ 'ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট'গুলির সংক্রমণের হার শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। বিশ্বের বহু প্রান্তেই জেএন.১ দ্রুত ছড়াচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, সেখানেও এই ধরনটি বেশি ছড়াচ্ছে। সেখানে মোট করোনা সংক্রমণের ১৫ থেকে ২৯ শতাংশই এ ভ্যারিয়েন্টের কারণে ঘটছে।


সংক্রমণ ও বিপদ এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু পরামর্শ দিয়েছে--


জনাকীর্ণ ও বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে


হাঁচি-কাশির সময়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে


অসুস্থ হলে নিজেকে বাড়িতে রাখুন, প্রয়োজনে গৃহবন্দি থাকুন


কোনও লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করান


হু কোভিড এবং টিকার নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কেও নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে অনুরোধ করেছে।


ভারতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও গতকাল এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সামিল হয়েছে রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে। সেই বৈঠক থেকে অনেক কিছুই বেরিয়ে এসেছে। বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, 'হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ' নিয়ে এখন এগোতে হবে। এটা সকলে এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময়। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি, তবে প্যানিক করার, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালগুলি প্রস্তুত আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। আর এটা দেখে নেওয়ার জন্য 'মক ড্রিল' করতে হবে। সর্বস্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কমিউনিকেশন আরও বাড়াতে হবে। রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।


কী কী করা হবে?


সমস্ত হাসপাতালে প্রতি ৩ মাসে একবার করে মক ড্রিল করা হবে।


রাজ্যগুলিকে সমস্ত ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।


প্রস্তুতিতে বিন্দুমাত্র খামতি বরদাস্ত করা হবে না।


আরও পড়ুন: Covid in India: দেশে ফের করোনা-আতঙ্ক! ভিলেন এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'পিরোলা'...


স্বাস্থ্য রাজনীতির জায়গাই নয়, যে কোনও জায়গায় যে কোনও ধরনের সহায়তাপ্রদানের জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)