নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের রূপ ও চরিত্র বদলের জেরে প্রতিদিনই আরও ভয়ঙ্কর হয় উঠছে এই ভাইরাস। প্রথম পর্যায় থেকেই একাধিকবার চরিত্র বদল করে বিশ্বের জন্য ত্রাস সৃষ্টি করেছে আরএনএ ভাইরাস সারস কোভ-২। তবে এবার যে ঘটনা সামনে এসেছে তা আরও ভয়ানক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬ বছরের HIV+ মহিলার দেহে পাওয়া গিয়েছে কোভিড-১৯। HIV ভাইরাস হল আরএনএ ভাইরাস এবং সঙ্গে কোভিড যুক্ত হওয়ায় ওই একই মহিলার দেহে ৩২ বার নিজের রূপ ও চরিত্র বদলেছে করোনা, হয়ে উঠেছে মারণ। 


আরও পড়ুন, বাংলায় টানা কমছে Covid আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু এখনও শতাধিক


এমনিতেই HIV ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার দেহে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। ২০০৬ সালে ওই মহিলা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি আক্রান্ত হন করোনায়। দেখা গিয়েছে দুই মারণ ভাইরাসের সংযোগে করোনার স্পাইক প্রোটিনের ১৩ বার মিউটেশন হয়েছে।


বৃহস্পতিবার মেডিকেল জার্নাল medRxiv-এ প্রকাশিত হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার দেহে E484K মিউটেশনের পর Alpha variant B.1.1.7 পাওয়া গিয়েছে, এর সঙ্গে সঙ্গেই N510Y মিউটেশনের জেরে তৈরি হয়েছে B.1.351 ভ্যারিয়েন্ট।


গবেষকদের চিন্তা বিষয় হল এই ভ্যারিয়েন্টগুলি কতটা ছড়িয়ে পড়েছে সেটাই। তা যদি হয় তাহলে ফের নতুন করে করোনার ঝড় শুরু হতে পারে বিশ্বে। এখনও পর্যন্ত ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের মহাসংক্রমক করোনা স্ট্রেন নিয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে বিশ্বের নানা দেশ।


এইচআইভি সংক্রামিত ব্যক্তিরা কোভিড আক্রান্ত হলে তা মারাত্মক হয়। প্রাণহানির ঝুঁকিও বেশি থাকে। যেহেতু এদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না প্রায়, সেই কারণে এরা খুব সহজেই কোভিডের বাহক হয় এবং মিউটেশন চলে দুই ভাইরাসের মধ্যে।  গবেষকরা বলেছেন যে আরও এই জাতীয় ঘটনা যদি পাওয়া যায় তবে HIV ব্যক্তিরাই করোনার নানা মিউটেশন সংক্রমণের নেপথ্যে থাকবেন। বিশ্বের জন্য তা চিন্তার।