নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্ধারিত সময়ের আগে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ঘুর্ণিঝড় ইয়াস। ঝড়ের তাণ্ডব চলল বাংলায়ও। দিঘা ও সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ যথেষ্টই। এমনকী, মন্দারমণিতে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছেন একজন। শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, আগামিকাল অর্থাত্‍ বুধবারও দুর্যোগ চলবে। ঘরে থাকার পরামর্শ দিলেন রাজ্যবাসীকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের তত্‍পরতা ছিল তুঙ্গে। গতকাল রাতভর নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। এদিন সকাল থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন দফায় দফায়। ইয়াসের ল্যান্ডফল শেষ। ফের সাংবাদিক মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, '১৫ লক্ষ ৮ হাজার ৫০৬ জনে আগেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাতেও ঝড়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ৩ লক্ষ বাড়ি লক্ষ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে'।


আরও পড়ুন: Yaas Update: দুর্যোগ কেটে গিয়েছে, শহরের সমস্ত ফ্লাইওভার খুলে দিল Kolkata Police


ইয়াসের তাণ্ডবে এদিন কুলতলি, গোসাবা-সহ  একাধিক জায়গায় বাঁধও ভেঙেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'রাজ্যে ১৩৮টি বাঁধ ভেঙেছে। জমিতে নোনা জল ঢুকে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে মাছেরও। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ১০ লক্ষ ত্রিপল, চাল ও শুকনো খাবার পাঠিয়েছে সরকার'। আর মৃত্যু? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ত্রাণ শিবিরে থাকাকালীন মাছ ধরার জন্য় জাল ফেলতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। জলে তলিয়ে গিয়েছেন তিনি। ইয়াসের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা। কম-বেশি দুর্যোগ চলেছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। এমনকী জল জমেছে খাস কলকাতার কালীঘাট, চেতলা, রাসবিহারীর মতো গঙ্গা লাগোয়া এলাকাগুলিতে।