মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: জিনবাহিত রোগে জর্জরিত দশ বছরের শরীরটা। নাকে অক্সিজেন নল নিয়েই ছেলেটা বলে “ডাক্তার হব”। কিন্তু, অক্সিজেন ছাড়া ডাক্তার হওয়া তো দূর, প্রাণটাই যে বাঁচবে না বিহারের জামুর জেলার দশ বছরের আব্দুল কালামের! তাই হাসপাতালের তরফেই ব্যবস্থা করা হল অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের। উদ্যোগ ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মে মাসের মাঝামাঝি পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ হাসপাতালে যখন আব্দুল কালামকে নিয়ে আসে তার মা, তখন শীর্ণকায় আব্দুলের প্রবল শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পরে আব্দুল কালাম প্রাইমারি ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি নামক এক সমস্যায় ভুগছে জন্ম থেকেই। যারফলে শরীরে রোগভোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা-ই কম তার। তারউপর সমস্যা আরও বেড়েছে দীর্ঘদিন ধরে আসল রোগের চিকিৎসা না হওয়ায়। দফায় দফায় সংক্রমণ ঝাঁঝরা করে দিয়েছে ফুসফুসকে। বেড়েছে পালমোনারি আর্টারির চাপও। 


আব্দুলের চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল জানান, কড়া ডোজের ওষুধ দিয়ে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, তাঁরা বুঝতে পারেন যে অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া বেঁচে থাকা কোনওভাবেই সম্ভব নয় তার পক্ষে। কিন্তু, দিনমজুর পরিবারের ছেলে কালাম। বাড়িতে অক্সিজেনের খরচ যোগাবে কীভাবে? এই সমস্যা থেকেই সুরাহা দিতে মঙ্গলবার কালামের পরিবারের হাতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তুলে দেওয়া হল ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের পক্ষ থেকে। আপাতত এই যন্ত্রই অক্সিজেনের যোগান দেবে আব্দুলকে। জানিয়েছেন ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধিকর্তা অপূর্ব ঘোষ।


আরও পড়ুন, Body Donation: 'আমার ছোট্ট মেয়ের দেহটা চোখের সামনে পুড়তে দেখতে চাই না,' ১০ বছরের শ্রীতমার দেহদান বাবা-মার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)