Kolkata: একবালপুরে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুঠ! গ্রেফতার ২ কনস্টেবল
রক্ষকই ভক্ষক! ধরা পড়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ আরও ৪ জন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলা রুজু।
পিয়ালী মিত্র: ব্যবধান এক সপ্তাহের। কলকাতায় ফের রক্ষকই ভক্ষক! ব্যবসায়ীর টাকা লুঠের অভিযোগে গ্রেফতার দুই কনস্টেবল। সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ আরও ৪ জন। ঘটনাস্থল, একবালপুরের ময়ূরভঞ্জ রোড।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে দশটা। গতকাল, বুধবার সকালে নগদ ৩৩ লক্ষ ব্যাঙ্কে জমা করতে যাচ্ছিলেন তাঁর এক কর্মচারী। সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। একবালপুরের ময়ূরভ়ঞ্জ রোডে তাঁদের পথ আটকান দুই ব্যক্তি। কেন? নিজেদের একবালপুর থানার কর্মী পরিচয় দিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করতে চান তাঁরা। তারপর? ওই ব্যবসায়ীর কর্মচারী ও তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি হোটেলে! সেই হোটেলে হাজির হন আরও ২ জন। তাঁরাও নিজেদের একবালপুর থানার কর্মী বলেই পরিচয় দেয়। রীতিমতো মারধর করে নগদ ৩৩ লক্ষ টাকা লুঠ করে নেওয়ার পর, ওই দু'জনকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। থানায় অভিযুক্ত পুলিসকর্মীরা বলেন, ওই ব্যবসায়ীর কর্মী ও তাঁর সঙ্গীর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে!
এদিক ততক্ষণে থানায় পৌঁছে গিয়েছেন অভিযোগকারী ব্যবসায়ীও। তিনি কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের জানান, কর্মচারীর হাত দিয়ে ব্যবসার টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। ১৫ লক্ষ নয়, তাঁর কাছে ৩৩ লক্ষ টাকা ছিল। এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁদের ৩ সহযোগীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এর আগে, একই ঘটনা ঘটেছিল তারাতলায়। ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ কনস্টেবলকে। তারাতলার একটি ব্যাঙ্কে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিয়ে আরটিজিএস গিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। কিন্তু ব্যাঙ্ক সমস্যার কারণে আরটিজিএস করা যায়নি। এরপর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কলাকার স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কে যান তিনি। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের বাইরে যখন অপেক্ষা করছিলেন, তখন পুলিস কর্মীর পরিচয় দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ব্যাগ তল্লাশি করেন দুই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ব্যাগে বিপুল টাকার হদিস মিলতেই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিসের একটি গাড়ি। সেই গাড়িতে তোলা হয় ওই ব্যবসায়ীকে এবং মাঝ পথে ব্যাগ কেড়ে নিয়ে গাড়িতে থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়!