সুতপা সেন: প্রথম দফায় ভোটেই রাজ্যে  ২৩৫ কোম্পানি বাহিনী! কলকাতা উত্তর-সহ  ৬ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। 'কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যদি এভাবে বুথ দখলের চেষ্টা করা হয়, বাংলার মানুষ প্রতিবাদে রুখে দাঁড়াবে', হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Mamata Banerjee: মাথায় চোট, তাতে কী! নবান্নে হাজির 'কাজপাগল' মুখ্যমন্ত্রী...


রাত পোহালেই শুরু মনোনয়ন পর্ব। আগামী ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায় ভোট হবে রাজ্যের ৩ কেন্দ্রে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি। এই  ৩ কেন্দ্রেই মোতায়েন থাকবে ২৩৫ কোম্পানি বাহিনী। রাজ্য়ে এখন রয়েছে ১৫০ কোম্পানি বাহিনী। এপ্রিলের গোড়াতেই চলে আসবে আরও বাহিনী।  কমিশন সূত্রে তেমনই খবর। 


এদিকে ভোটের মুখে ফের রাজ্যের ডিজি বদল। তাও মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে! গতকাল, সোমবার রাজীব কুমারের বদলে বিবেক সহায়ক ডিজি পদে বসিয়েছিল কমিশন। এবার দায়িত্ব দেওয়া হল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। আর স্পর্শকাতর কেন্দ্র? দার্জিলিং, মালদহ দক্ষিণ, মালদহ উত্তর, আসানসোল, বনগাঁ, কলকাতা উত্তর।



আরও পড়ুন:  Garden Reach Building Collapse: 'সব জানতেন পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার'!


কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় এই ঘটনাকে নিন্দা করেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যদি এভাবে বুথ দখলের চেষ্টা করা হয়, বাংলার মানুষ প্রতিবাদে রুখে দাঁড়াবে। বাংলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটে বিজেপি মুছে যাবে।  সেটা বুঝতে পেরেই নরেন্দ্র মোদীর ৪২, প্রথমে অমিত শাহ ৩৫-এ নেমেছিল, এখন ২৫-এ নেমেছে। আগামিদিনে ৫ নামবে। আমরা, তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে লড়াই করছি, ৪২ আসনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উপহার দেওয়ার জন্য'।


বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, 'তৃণমূল কংগ্রেস লুঠপাঠ করবে, বাহিনী থাকলে অসুবিধা হবে! এজন্য আর্তনাদ করছে। এগুলি পরাজিতের আর্তনাদ, হতাশা থেকে বিবৃতি দিচ্ছেন'। তাঁর কথায়, 'বাহিনীকে আসতে দিন, পৌঁছতে দিন গ্রামে। দেখবেন, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া মহিলারা ফুল ছিটিয়ে, শাখ বাজিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতাকে হাজার টাকায় কিনে নেবেন ভেবেছিলেন, তাঁরা ভুল করেছেন। সেই আঁচ পেয়েছেন। ভয়ে এই ধরণে কথাবার্তা বলছেন'।


সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, 'মুখ্যমন্ত্রী, পুলিসমন্ত্রী হিসেবে যদি বেআইনি কাজে মদত দিতে থাকেন, পুলিসকে বেআইনি কাজে অংশীদার করেন, তাহলে পুলিসের উপর ভরসা করে রাজ্যে মানুষকে যে রক্ষা করা যায় না, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা স্পষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনি এমনি আসছে না! কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী শুধু থাকলেই হবে না, তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে'।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)