নিজস্ব প্রতিবেদন : মূল অভিযুক্তকে আড়াল করে তার পরিচয় ভাঁড়িয়ে ভবানীভবনে তদন্তকারী অফিসারের কাছে অগ্রিম জামিনের কাগজ জমা দিতে এসে বমাল ধরা পড়ে গেল এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম রক্তিম চৌধুরী। এদিকে এত কাণ্ডকীর্তির পর ধরা পড়ে গেল মূল অভিযুক্তও।  ব্যর্থ হল সব কারিকুরী! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নকল পরিচয় দিয়ে  ভবানীভবনে ঢোকা ব্যক্তি বাইরে না বেরোনোয় ফ্যাসাদে পড়ে যায় মূল অভিযুক্ত। বেগতিক দেখে রিসেপশনে ঢুকে রেজিস্টার বুক থেকে এন্ট্রি মোছার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। সেইসময়ই হাতেনাতে ধরা হয় ২ জনকে। ধৃতদের নাম রোমি হীরাওয়াত ও বরুণ লোধা। এই ঘটনায় এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ভবানীভবনে। ধৃতদের কাছ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের নকল হলফনামা ও অগ্রিম জামিনের নথিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পরে সিআইডি ৩ অভিযুক্তকেই আলিপুর থানার হাতে তুলে দেয়।


পুলিস সূত্রে খবর,  সল্টলেকের বাসিন্দা রোমি ও বরুণেএর বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানাতে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ  রয়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্ত শুরু করলে দুই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। বিষয়টি আদালতে গড়ালে  আদালত নির্দেশ দেয় সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে  হবে অভিযুক্ত রোমি ও বরুণকে। এখন হাজিরা দিলে গ্রেফতার করা হতে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকেই রোমি তাঁর এক কর্মচারীকে জাল আই কার্ড ও আগাম জামিনের নথি দিয়ে ভবানীভবনে পাঠায়। সেই কর্মচারী রোমির পরিচয় ভাঁড়িয়ে ভবানীভবনে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। আর তাতেই পর্দাফাঁস হয় গোটা চিত্রনাট্যের।


আরও পড়ুন, "আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন," মহালয়ায় মর্মান্তিক পরিণতি সন্তানহারা দম্পতির