জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টাকিতে ধুন্ধুমারে অসুস্থ রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কীভাবে? রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারকে এবার দিল্লিতে তলব করল ব লোকসভা এথিক্স  ব্রাঞ্চ। সঙ্গে  বসিরহাটের পুলিস সুপার ও উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিস সুপারকেও। কবে? সোমবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Mamata Banerjee: 'কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো দরকার', আপাতত বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্জাব সফর!


ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। সেদিন বিজেপি আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বসিরহাট। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত।


এদিকে লাঠিচার্জের পর, বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিস। তাঁদের মুক্তি দাবিতে মধ্য়রাত পর্যন্ত থানার সামনে ধরনায় বসেন সুকান্ত-সহ বিজেপি নেতারা। শেষে রাজ্য় বিজেপি সভাপতি-সহ সকলকেই আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট স্টেডিয়ামে। ঘণ্টা খানেক পর ছাড়া পান তাঁরা।


রাতে টাকির একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন সুকান্তরা। সকালে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে ইছামতীর ঘাটে পৌছে যান সুকান্ত-সহ বিজেপি নেতারা। সরস্বতী পুজো করেন। এরপর পুলিস যখন তুলে আনার চেষ্টা করে, তখন গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। নামার সময়ে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন।


বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'সন্দেশখালি ১৯ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। সুকান্ত মজুমদার ছিলেন টাকিতে। টাকিকে দুর্গ বানানো হল কেন? টাকি কেন অররূদ্ধ হল? কেন গেস্ট হাউসের সামনে লাঠিচার্জ করা হল? কেন মহিলা কর্মীরা আক্রান্ত হলেন? কেন সরস্বতী ঠাকুরের হাত ভাঙল'? সুকান্ত মজুমদার যখন গাড়ির উপর থেকে পড়ে গেলেন, তখনও লাঠিচার্জ বন্ধ হয়নি। পার্টি কর্মী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, পুলিস বাধা দিয়েছে'।


শমীকের মতে, 'চরম বিপদ ঘটতে পারে যেকোনও সময়ে। জীবন চলে যেতে পারত। তাঁকে (সুকান্ত মজুমদার) শেষ করার দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে। কেউ তো অস্বীকার করতে পারে না'। জানান, 'এটা স্পিকারের এক্রিয়ার। স্পিকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। স্পিকার খোঁজ নিয়েছেন। পুলিসকে জবাব দিহি করতে হবে'।



তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের পাল্টা দাবি, 'সুকান্ত মজুমদার নাটক করেছেন। তাঁর দলেরই এক নেত্রী পুলিশকে ধাক্কা মেরেছে এবং হাত ধরে গাড়ি বুনেটে সুকান্ত মজুমদারকে শুয়ে দিয়েছে। পুলিস তাঁর উপর কোনও অত্যাচার করেনি। তা সত্ত্বেও এই নাটক, সংসদীয় কমিটির এই চিঠি'! তাঁর প্রশ্ন, 'এই সংসদীয় কমিটি কোথায় ছিল, যখন ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা সাংসদরা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেওয়ার পর সেখানে গিয়েছিলেন। দেখা না করার পর, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। অমিত শাহের পুলিস, কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিস নির্মমভাবে মারতে মারতে আমাদের বের করে দিয়েছে। তখন কেন তারা দেখতে পায়নি'।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)