পোশাকে রক্তের দাগ; যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এমপি বিড়লা স্কুলের ৩ বছরের পড়ুয়ার মায়ের
জিডি বিড়লা স্কুলে নার্সারির ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা পশ্চিমবঙ্গ। এরমধ্যেই সামনে এল বেহালার এমপি বিড়লা স্কুলে একইরকম ঘটনা। অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই তিন বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে স্কুলের দুই পুরুষ কর্মী। আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জিডি বিড়লা স্কুলে নার্সারির ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা পশ্চিমবঙ্গ। এরমধ্যেই সামনে এল বেহালার এমপি বিড়লা স্কুলে একইরকম ঘটনা। অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই তিন বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে স্কুলের দুই পুরুষ কর্মী। আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ, ১৪ জুলাই প্রথমবার স্কুলের মধ্যেই যৌন হেনস্থার শিকার হয় লোয়ার কেজির ওই ছাত্রীকে। নির্যাতিতা ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ফেরার পর বারবার গোপনাঙ্গে হাত দিচ্ছিল শিশুটি। ধমক দিতেই শিশুটি মাকে জানায় 'স্কুলের আঙ্কল' তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়েছে। সেই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানায় ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু অভিযোগ এড়িয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ পাল্টা অভিযোগ করে, বাড়িতে বা পার্কে হয়তো নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিশুটি।
ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, এরপর আরও মারাত্মক ঘটনা ঘটে ১৩ সেপ্টেম্বর। সেদিন স্কুল থেকে ফেরার পর মেয়ের পোশার পরিবর্তনের সময় স্তনের উপর নখের দাগ দেখতে পান তিনি। এরপর টয়লেট করতে গিয়েই কাঁদতে থাকে নির্যাতিতা শিশুটি। তখনই পোশাকে রক্তের দাগ দেখতে পান ওই নির্যাতিতা শিশুর মা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকেরা তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয় যৌন নির্যাতন।
আরও পড়ুন, বাবা ওদের ঢিসুম ঢিসুম করে দেবে তো? বারবার প্রশ্ন করছে মেয়ে, ২৪ ঘণ্টাকে বললেন মা
নির্যাতিতা ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, এরপর ফের স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় তারা। কিন্তু ওই ছাত্রী মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে দাবি করে এবারও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এমনকি বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে, সেখানেও প্রথমে পুলশ এফআইআর নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। শিশুটির পরিবারের দাবি, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শৌচালয় থেকে আতঙ্কে দৌড়ে বেরিয়ে আসছে ওই ছাত্রী।
পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। একইসঙ্গে ২ জন অভিযুক্তকে শনাক্তও করে নির্যাতিতা ছাত্রী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে স্কুল যাওয়া বন্ধ মেয়ের। এদিকে, অভিযুক্তরা এখনও বহাল তবিয়তে স্কুলেই রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই, স্কুলের অন্তর্বর্তী তদন্তে অভিযুক্ত শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।