ওয়েব ডেস্ক: একরত্তি শিশুর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। যে হাসপাতাল থেকে মেলা উচিত চিকিত্‍সা, ভরসা, সেখানেই চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ। যার মাসুল হিসেবে এখন প্রাণসঙ্কটে তিন বছরের আফসারা। বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে বাড়ি। সর্দি, কাশি, জ্বর টানা এই সমস্যায় ভুগছিল শিশুটি। প্রথমে গ্রামের ডাক্তার, সেখান থেকে কলকাতার NRS। মেয়েকে সুস্থ করার আশায় লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে এশহরে আসেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু কোথায় কী! কলকাতার নামিদামি হাসপাতালেও তাঁরা পেলেন শুধুই দুর্ভোগ, দুশ্চিন্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১১ই এপ্রিল আফসারাকে NRS-এ আনার পরই, পরীক্ষা করে জানা গিয়েছিল, ব্লাড ক্যানসার হয়েছে তার। প্রথমবার তাকে দেখানো হয় হেমাটোলজি বিভাগে। কী অসুখ তা ধরা পড়ার পর বাড়ির লোক ভেবেছিলেন, এবার হয়ত সঠিক চিকিত্‍সা পাবে তাঁদের দুধের শিশু। হয়ত তাড়াতাড়িই সেরেও উঠবে। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে, তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় আসল ভোগান্তি। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত আফসারার চিকিত্‍সা হওয়ার কথা হেমাটো-অঙ্কোলজি বিভাগে। কিন্তু বেডের অভাবে সেখানে তাকে ভর্তি নেওয়াই হয়নি। বরং শিশু মেডিসিন বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয় তাকে। সেখানে ছদিন ভর্তি রাখা হয় বিনা চিকিত্‍সায়। অভিযোগ, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেখানে আফসারাকে একবারের জন্যেও দেখতে যাননি হেমাটো অঙ্কোলজি বিভাগের ডাক্তাররা।


ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত আফসারার চিকিত্‍সায় এত হেলাফেলা কেন? এপ্রিলে তাকে প্রথম বার যখন ভর্তি করা হয় তখনই কেন যথাযথ চিকিত্‍সা শুরু করা গেল না? প্রশ্ন শিশুর পরিবারের। বেডের অভাবেই যদি হেমাটো-অঙ্কোলজির বদলে পেডিয়াট্রিকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল, তাহলে সেখানেই কেন চিকিত্‍সা পেল না শিশুটি? কেন তাকে ছ-দিন পর ফিরে যেতে হল কার্যত বিনা চিকিত্‍সায়? যার জেরে একমাস পর তাকে আবার ফিরতে হল সেই হাসপাতালেই, আরও সঙ্কটজনক অবস্থায়। কে নেবে এর দায়?