Rajarhat Gang Rape: অসৎ উদ্দেশ্যেই পার্টি! ৮ জনের বদলে ১৩ জন কেন ঢুকল বৈদিক ভিলেজে?
রাজারহাটের রিসর্টে জন্মদিনের পার্টিকে তরুণীকে `গণধর্ষণ`। ধৃত ৪ জনকে ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
পিয়ালি মিত্র: ৮ জনের বদলে কেন ১৩ জন অতিথি? পরিচয়পত্র ছাড়া ৫ জনকে রিসর্টে থাকতেইবা দেওয়া হল কেন? আগে থেকেই কি অসৎ উদ্দেশ্য ছিল? রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি করল পুলিস। ধৃত ৪ জনকে ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত।
পুলিস সূত্রে খবর, চলতি মাসের ৯ ও ১০ তারিখে রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজে এক ভিলা বুক করা হয়েছিল। নম্বর, AQ-6। কেন? জন্মদিনের পার্টিতে হাজির ছিল ১৩ জন অতিথি। অভিযোগ, পার্টি শেষ হওয়ার পর মাদক খাইয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়! এক বান্ধবীর আমন্ত্রণে ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার পরের দিন, ১১ নভেম্বর রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অভিযুক্তকে। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া, আর একজন বেসরকারি সংস্থার কর্মী।
একটা বা দু'টো নয়, বৈদিক ভিলেজের ভিতরে ভিলার সংখ্যা প্রচুর। প্রত্যেকটি ভিলাই আবার ব্যক্তিগত মালিকাধীন। তদন্তে জানা গিয়েছে, যে ভিলাটি জন্মদিনের পার্টির জন্য় বুক করা হয়েছিল, সেই ভিলার মালিক বিদেশে থাকেন। এজেন্ট বা অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে ওই ভিলাটি বুক করতে হয়। যখন বুক করা হয়েছিল, তখন ৮ জন অতিথির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জন্মদিনের পার্টিতে ছিল ১৩ জন! নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ভিলা বুক হওয়ার পর মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয় বৈদিক ভিলেজ অ্যাসোসিয়েশনে। অ্যাসোসিয়েশন থেকে আবার মেল যায় মেন গেটে সিকিউরিটি অফিসে। পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে অতিথিদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাহলে ৮ জনের বদলে ১৩ জন কীভাবে রিসর্টে ঢুকল? শুধু তাই নয়, ৫ জনের আবার পরিচয়পত্রও ছিল না!
আরও পড়ুন: কাউন্সিলরদের গলদেই জটিল শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি! বিস্ফোরক মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ
জন্মদিনের পার্টির জন্য যারা ভিলা বুক করেছিল, তাদের কি কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল? সেই সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিস সূত্রে খবর, যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেদিন তাদেরই একজনের জন্মদিনের পার্টি ছিল বৈদিক ভিলেজে। অভিযুক্তের এক বান্ধবীর পরিচিতা নির্যাতিতা। যার জন্মদিন ছিল, সে-ই নাকি বান্ধবীকে বলেছিল, পরিচিত কোনও মহিলা থাকলে, তাঁকে পার্টি নিয়ে আসতে! সবদিকই খতিয়ে দেখছে পুলিস।