নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের জের। শহরের আরও ৪টি সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দিল পুলিস। কোনও রকম পণ্যবাহী যান চলবে না ওই চারটি সেতুতে। শনিবার একথা জানিয়েছেন কলকাতার পুলিস সুপার রাজীব কুমার। সেতুগুলি দুর্বল হয়ে পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মঙ্গলবার বিকেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। শহরের ব্যস্ত এই সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বেহালা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি বিস্তীর্ণ এলাকা। রক্ষণাবেক্ষণ না করে বার বার পিচের চাদর চড়ানোতেই মাঝেরহাট সেতুর এই করুণ পরিণতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়তেই ঘুম ভেঙেছে রাজ্য সরকারের। নীল-সাদা রং করার কাজ স্থগিত করে আপাতত শুরু হয়েছে সেতুগুলির স্বাস্থ্য সমীক্ষা। কলকাতার ২০টি সেতুর অবস্থা নিয়ে তিনি স্বয়ং চিন্তিত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মাঝেরহাট সেতু বাম জমানায় তৈরি বলে দায় ঝেড়েছেন তিনি। সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, ভারী লরি চলাচলের ফলে দুর্বল হচ্ছে সেতুগুলি। সেজন্য শহরে ২০ চাকার লরি ঢুকবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সেতুভঙ্গের পুনরাবৃত্তি রুখতে আপাতত শিকেয় উঠেছে রাজ্য সরকারের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার থেকে কলকাতার বিভিন্ন সেতু থেকে সরানো শুরু হয়েছে গাছের ঢাউস সব টব। তবে তাতেও আশঙ্কা কাটছে না পুরনো কয়েকটি সেতুকে নিয়ে। তাই এবার সেই সেতুগুলিতে পণ্যবাহী যান চলাচলই বন্ধ করে দিল কলকাতা পুলিস। শনিবার পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন দক্ষিণের টালিগঞ্জ সেতু ও বিজন সেতু ও উত্তরে গৌরিবাড়ি সেতু ও বেলগাছিয়া সেতুতে উঠবে না পণ্যবাহী কোনও গাড়ি। 


তৈরি হল TMCP-র নতুন কমিটি, রইলেন সেই জয়াই


কয়েক দশকের পুরনো এই সেতুগুলির অধিকাংশেরই বেহাল দশা। বেলগাছিয়ায় যশোর রোডের ওপর সেতুটিতে ফাটলের ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেতুর ওপরে আবার চলছে ট্রাম লাইন মেরামতির কাজ। গৌরীবাড়ি সেতুর অবস্থাও ভাল নয়। দৈর্ঘ্য বেশি না হলেও বয়সের ভারে ধুঁকছে সেটিও।


সেতুর নীচে জবরদখল সরিয়ে সেতুর স্বাস্থ্য ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কাজ শেষ না-হলে ঘুরপথেই যাতায়াত করতে হবে পণ্যবাহী যান চালকদের।