নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন কাটিয়ে আনলক পর্ব শুরু হতেই বেশিরভাগ দোকানপাট খুলে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে অফিস-কাছারিও। রাস্তায় নেমে পড়েছে মানুষ। ট্রেন না চললেও, বাস, অটো, লঞ্চ ইত্যাদি গণপরিবহনের মাধ্যমগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বারবারই একটা সতর্কতাবিধি সবাইকে মেনে চলার জন্য বলা হচ্ছে। এক, বাইরে বেরলেই মাস্ক পরুন। দুই, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলুন, বজায় রাখুন। কিন্তু রাস্তায় যে ছবি ক্যামেরাবন্দি হচ্ছে, তাতে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে সামাজিক দূরত্বের নামগন্ধ নেই। শিকেয় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং। আর মাস্ক? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারও গলার হার হয়ে শোভা পাচ্ছে মাস্ক! কেউবা কনুইয়ে পড়েছেন! কারোও আবার পকেটে শোভা পাচ্ছে! হাতেগোনা কয়েকজনকেই দেখা গেল শহর কলকাতায় রাস্তায় মাস্ক পরে বেরতে। নাগরিক সচেতনতার এই ছবি যখন শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিচ্ছে, তখনই সামনে এসে দাঁড়ায় আলিসা নামে এক খুদে। ৪ বছরের ছোট্ট মেয়ে সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে যেন দায়িত্ববোধ, সচেতনতার পাঠ পড়াচ্ছে। পার্কস্ট্রিট মোড়ে চকলেট বিক্রি করছিল 8 বছরের আলিসা। মুখে একটা মাস্ক পরা। আর রাস্তা দিয়ে যে যাচ্ছে, তাকেই সে বলছে, "একটু পয়সা দেবে, মাস্ক কিনব।" 


সত্যি অবাক হতে হয়! যাঁরা এক হাজারটা মাস্ক কিনে পরতে পারেন তাঁদের উদাসীনতা আর আলিসাকে পাশাপাশি রাখলে বোঝা যায়, সচেতনতা কোথায় আছে আর কোথায়  নেই! "মাস্ক কেন পরেছিস?", কৌতূহলবশত আলিসাকে জিজ্ঞাসা করতেই এল স্পষ্ট উত্তর।  আলিসা বলে, "আরে সব মানুষের থেকে ওই করোনা ছড়াবে তাই। আমি রাস্তায় থাকি। চকলেট বিক্রি করি। আমাকে ঠিক থাকতে হবে না?" কোথাও যেন মনে হল আলিসা বুঝেছে। 'আনলকড' কলকাতায় 'হিরো' আলিসা। ও সচেতন। অথচ সারাদিন যাঁদের রাস্তায় দেখলাম, তাঁদের মধ্যে এখনও সেই সচেতনতা নেই। হয়তো তাঁরাও একদিন বুঝবে। তবে সেদিনটা অনেক দেরি না হয়ে যায়, সেটাই ভাবনার!


আরও পড়ুন, নাইট কারফিউকে 'বুড়ো আঙুল'! রাতের কলকাতায় মুখে মাস্কহীন বাইকবাহিনীর দাপট