নিজস্ব প্রতিবেদন : বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা বাংলা। রাজ্যের শিল্পের অনুকূল পরিবেশকে দুনিয়ার কাছে তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। দেশ বিদেশের চার হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এবারের সম্মেলনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লক্ষ্য রাজ্যে আরও বেশি শিল্প, বিনিয়োগ এবং কর্ম সংস্থান। সেই টার্গেটেই  বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট।  এবারের শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, পর্তুগাল, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, বাংলাদেশ থেকে আসছে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। চিনের কুনমিং প্রদেশ থেকেও আসছে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। মোট ২৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন শিল্প সম্মেলনে। আসছেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। মুকেশ আম্বানি, আদি গোদরেজ, সজ্জন জিন্দল সহ আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা আসতে পারেন বলে খবর।


তবে এবারের বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি আসছেন না। সাম্প্রতিক কেন্দ্র-রাজ্য যুযুধান পরিস্থিতিতে যে ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে জানান, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।


ছোট শিল্পে বড় নজর
প্রথম থেকেই বড় শিল্পের পাশাপাশি ছোট আর মাঝারি শিল্পে বাড়তি নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবারের শিল্প সম্মেলনেও তাদের জন্য থাকছে বিশেষ উদ্যোগ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি  শিল্পে বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন অ্যাপ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা, অভিযোগ সরাসরি সরকারকে জানাতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। ফাইল নিয়ে আর দফতরে ছোটাছুটি নয়, অ্যাপের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবার।


প্রসঙ্গত, আগেই ছোট আর মাঝারি শিল্প নিয়ে কনক্লেভ করেছে রাজ্য। এখন সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের ইনসেনটিভের টাকাও। এর পাশাপাশি খাদির বিপণনেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ই-কমার্সের দুনিয়ায় প্রবেশ করছে খাদি বোর্ড। শিল্প সম্মেলনে সেই প্রকল্পেরও উদ্বোধন হবে। গত চারবারের মতো এবারের সম্মেলনেও বিনিয়োগে ভাল সাড়া মিলবে বলে আশা রাজ্যের।


আরও পড়ুন, রাজীবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে কোনও চিঠি আসেনি : মুখ্যমন্ত্রী


উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যের বাণিজ্যিক বৃদ্ধি হয়েছিল ১৬.২৯ শতাংশ। সেখানে কেন্দ্রের বৃদ্ধি হয়েছে ৫,৪ শতাংশ। অর্থাত্ কেন্দ্রের তুলনায় ১৯৪% বেশি বৃদ্ধি নিয়ে কাল বাণিজ্য সম্মেলনে যাচ্ছে রাজ্য। নবান্ন সূত্র মারফত পাওয়া তথ্য বলছে, শিল্প পরিকাঠামোয় ২০১৭-১৮ তে ৯৮৯ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। ২০১০-১১ সালে যে খরচের পরিমাণ ছিল ২৩৪ কোটি। পাশাপাশি, এ পর্যন্ত চারটে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে মোট ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে রাজ্যে।