নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্দোলনের জের। হেয়ার স্কুলে আজ পাঁচ জন শিক্ষক যোগদান করছেন। খুশি অভিভাবকরাও। তবে তাঁদের আফসোস, হেয়ার স্কুলের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পথে নামতে বাধ্য হলেন তাঁরা। এটা অত্যন্ত লজ্জার। তাঁদের প্রশ্ন, কর্তৃপক্ষের ঘুম কে ভাঙাবে? এর ফলে তো শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কলেজ স্ট্রিটের এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর। এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসেও সুরাহা না মেলায় ১৭ জুলাই-এর পর বুধবার ফের রাস্তা অবরোধ করেন হেয়ার স্কুলের বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। অবরোধের জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় কলেজ স্ট্রিট। খবর পেয়ে লালবাজার থেকে পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন অভিভাবকেরা। ফলে অবরোধ চলতেই থাকে। 


রাত ১০টায় সল্টলেকে দিলীপের বাড়ির সামনে হাজির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়


অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, হেয়ার স্কুলে বর্তমানে ছাত্রের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো। অথচ শিক্ষক মাত্র ৮ জন। গত মাসে ১ জন শিক্ষক চলে গিয়েছেন। এ মাসে চলে যাবেন টিচার ইন চার্জ তনুশ্রী নাগও। তারপর শিক্ষকের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৭-এ। অথচ মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকার কথা ১১ জন। তাঁদের আরও অভিযোগ, ক্লাস প্রায় হয় না বললেই চলে। আগে দু'টো পিরিয়ড হয়ে স্কুল ছুটি হয়ে যেত। এখন মেরে কেটে একটা ক্লাস হয়। 


টানা চার ঘণ্টা পথ অবরোধের পর মেলে সুরাহা। ৫ শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপরই অবরোধ তুলে নেন অভিভাবকরা।