নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোটের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল। দীপাবলির রাতে মহানগরীতে দেখা গেল শব্দবাজির দাপট। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র পুলিস ও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই দেদার ফাটল শব্দবাজি।  শব্দ দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে শহরে মোট ৯৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, ঘরে ঢুকেই স্বামী দেখল, প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্ত্রী, তারপর...


পুলিস সূত্রে খবর, বিকেল ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন থানায় শব্দবাজি নিয়ে ৫০টি ও লাউড স্পিকার নিয়ে ২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০ পর্যন্ত দুঘণ্টা বাজি পোড়ানো যাবে। কিন্তু সেসব নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেই রাতভর চলল বাজি পোড়ানো। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শব্দবাজির দাপট।


আরও পড়ুন, ফের 'ধর্ষণ' করে খুন বীরভূমে! মিলল আদিবাসী কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ


পাশাপাশি ছিল ফানুস ওড়ানো। দিওয়ালির রাতে দমদম বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় দেদার ওড়ে ফানুস। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দাঁড়িয়েও ফানুস ওড়ান বহু মানুষ। বাজি ফাটে রাতভর। বাজির দাপটের ছবিটা ভিন্ন নয় সল্টলেকেও। দিওয়ালির রাতে শব্দবাজির দাপটে অতিষ্ঠ সল্টলেকবাসী। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন, বাড়ির অমতে প্রেম, বিয়ের ২ মাসে 'পুড়ে খাক' যুবতীর 'সুখের সংসারের স্বপ্ন'


শব্দ দূষণের পাশাপাশি হেমন্তের কুয়াশার সঙ্গে বাজির ধোঁয়া মিশে শহর ঢাকে ধোঁয়াশায়। দিওয়ালির রাতে ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় শহর কলকাতার বেশ কিছু এলাকা। রাতে বাইপাস ও সংলগ্ন এলাকা ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়। শহর কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতেও রাতে ছিল ধোঁয়াশার দাপট।


প্রসঙ্গত, কালীপুজোর দিন রাতে দূষণের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল কলকাতা। বাতাসে প্রলম্বিত ধূলিকণার পরিমাণ ৬০০-র সীমা ছাড়িয়েছিল। বুধবার রাতেও ১০টা নাগাদ বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ সাড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। গভীর রাতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়ে। সেই মাত্রা ৫৫০ ছাড়িয়ে যায় বলে কলকাতায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে।