নিজস্ব প্রতিবেদন:  আপনার এন্ড্রোয়েড যুক্ত স্মার্ট ফোন আছে তো? তার সঙ্গে ব্যালান্স আছে এমন মেট্রো স্মার্ট কার্ড? যদি এই দুটির কোনও একটিও না থাকে, তাহলে নিউ নর্মাল কলকাতা মেট্রো রেল পরিষেবা আপাতত আপনার ধরাছোঁয়ার বাইরে। সোমবার ঠিক এমনই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন অগণিত যাত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে ৬ মাসের মাথায় আজ সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল পরিষেবা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে পরিষেবা। শেষ ট্রেন অন্তিম স্টেশন থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টায়।  করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে।



কিন্তু ১৭৪ দিন পর যাঁরা কলকাতা মেট্রোয় সুলভে আরামদায়ক সফরের বাসনা নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিলেন, তাঁদের বিফল মনোরথে বাড়ি ফিরতে হল। কিংবা ধরতে হল, বাস, ট্যাক্সি, অটো কিংবা অ্যাপ ক্যাব ওলা-উবের।


প্রথমতঃ করোনা আবহের আগে মেট্রোতে যাতায়াত করতেন, এমন অসংখ্য যাত্রীর কাছে অ্যাপ ডাউনলোড করার মতো উপযুক্ত মোবাইল ফোন নেই।           দ্বিতীয়তঃ এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মোবাইল ফোনটি আধুনিক, কিন্তু মেট্রোয় নিয়মিত যাত্রী নন বলে স্মার্ট কার্ড করান নি।
তৃতীয়তঃ অনেকের স্মার্ট কার্ড আছে। অ্যাপ নেই। তাদের কেউ কেউ নিজের ফোনের নেটের গতি ভালো না থাকায় সেটি ডাউনলোড করতে পারলেন না।
চতুর্থতঃ যাঁদের সব আছে, তাঁরা স্টেশনে এসে অন্যের সাহায্যে অ্যাপ ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখলেন মেট্রো সার্ভারটি ডাউন, অর্থাৎ বাফারিং হয়ে যাচ্ছে।


পঞ্চমতঃ প্রতিদিন যতবার যাতায়াত, ততবার ই-পাস। এটা শুনেই অনেকে রণে ভঙ্গ দিলেন।


ভিন জেলা থেকে কলকাতায় বিভিন্ন কাজে আসা মানুষের অনেকেই আপাতত মেট্রোয় উঠতে পারবেন না। বয়স্ক মানুষেরা অনেকেই ফোনে শুধু কথা বলেন। এমনকি এসএমএস টাও ভালো করে করতে পারেন না। নিউ নর্মাল মেট্রো ব্যবস্থায় তাঁরাও আজ থেকে কার্যত বাতিলের খাতায় চলে গেলেন।


স্মার্ট কার্ড করিয়েছেন, পর্যাপ্ত ব্যালেন্স আছে, এরকম বহু যাত্রীও এই দলে আছেন। যাঁদের কাছে শহরের লাইফ লাইন আর তেমন ভাবে কার্যকর রইল না। তাই কেউ উগরে দিলেন ক্ষোভ, কেউ বিরক্তি। কেউ বা বহু চেষ্টার পর একরাশ হতাশা নিয়েই স্টেশন ছাড়লেন।


তবে স্মার্ট কার্ড আছে কিন্তু ব্যালান্স নেই তাঁরা মেট্রো স্টেশনের কাউন্টার থেকে রিচার্জ করাতে পারবেন। মেট্রো স্মার্ট কার্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে সেই সমস্ত কার্ড গুলিও রিচার্জ বা রিনিউ করা যাবে কাউন্টার থেকে।


এদিকে যাত্রী কমানো, এবং মেট্রো পরিসরে সর্বত্র সামাজিক দূরত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে কিছুটা পরিকল্পিত এবং কৌশলগতভাবেই মেট্রোর মসৃণ পথ কঠিন করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দিনের শেষে বড় প্রশ্ন একটাই, যাঁদের জন্য মেট্রো, তাঁদের সিংহভাগই যদি এই নতুন জটিল নিয়মে কুল না পায়, তাহলে লাইফলাইন চালু করে আম জনতার যান সমস্যা মেটানো যাবে কি?


 


আরও পড়ুন - 'এত ফাঁকায় আগে উঠিনি', বলছেন মেট্রো যাত্রীরা, খুশি নয়া স্বাস্থ্যবিধিতে