নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়ে সরস্বতী পুজোয় স্কুলে। আর বাড়িতে মাকে মারধর করে আত্মঘাতী বাবা। মর্মান্তিক ঘটনা পঞ্চসায়রের নয়াবাদ এলাকায়। খবর, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মনোরঞ্জন কর্মকার। গুরুতর জখম তাঁর স্ত্রী রমা কর্মকার, ভর্তি হাসপাতালে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চসায়রের নয়াবাদ এলাকার শতাব্দী পার্ক। দুপুরে আচমকাই মনোরঞ্জন কর্মকারের ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে চিত্‍কার শুনতে পান আত্মীয় পিঙ্কি কর্মকার। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। খবর দেন মনোরঞ্জনের ভাইকে। স্থানীয় এক বন্ধুকে নিয়ে ছুটে আসেন তিনি। পড়শিদের দাবি, অনেক ডাকাডাকি সত্ত্বেও দরজা খোলেনি। স্থানীয় এক চাবিওয়ালাকে ডেকে তালা খোলা হয়। ভেতরে ঢুকেই স্তম্ভিত সকলে।


আরও পড়ুন- গভীর রাতে পাঁচিল টপকে অন্যের ঘরে ঢুকছে, তারপর... ফাঁস সাধুবাবার কীর্তি!


মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন রমা কর্মকার। ঘাড়ে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। প্রতিবেশীদের দাবি, জ্ঞান থাকলেও কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। পাশের ঘর বন্ধ থেকে সেটির দরজা ভাঙেন সকলে। ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মনোরঞ্জন কর্মকারকে। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। খবর যায় পঞ্চসায়র থানায়। এই সব ঘটনা যখন ঘটছে, তখন তাঁদের মেয়ে স্কুলে, সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে।


রাতে ঘটনাস্থলে আসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন আর্থিক অনটনের মধ্যে ছিলেন মনোরঞ্জনের পরিবার। তার জেরেই সম্ভবত এই ঘটনা।