নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শনিবার বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের স্নায়ু বিভাগে চিকিৎসারত এক প্রৌঢ়র গামছায় বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় হাসপাতালেরই শৌচালয় থেকে। রোগীর রহস্যজনক এই মৃত্যুকে ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দুষ্কৃতী নয়; রথের মেলা দেখাতে নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে স্বামীই, অভিযোগ স্ত্রীর


হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন ভোর রাত থেকেই বেপাত্তা ছিলেন অম্বরিশ দে নামে বছর ৫৮-র ওই ব্যক্তি। এরপর শৌচালয়ে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় প্রৌঢ়কে দেখতে পায় হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিস এসে শৌচালয়ের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে প্রৌঢ়র দেহ।


ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। মৃতের ছেলে অনিমেষ দে-র অভিযোগ, "কেবিনে ৫-৬ জন রোগী একসঙ্গে থাকা সত্ত্বেও একজন রোগী কীভাবে বেপাত্তা হয়ে যায়। এই সময়ে কোথায় ছিলেন কর্তব্যরত কর্মীরা।" ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া পরিবারে। কী কারণে এই ঘটনা? উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবার।



পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৬ জুন সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের স্নায়ু বিভাগে ভর্তি হন হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা অম্বরিশ দে। চলছিল চিকিৎসা। আজই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনাটি নেহাতই আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ! উত্তর মেলেনি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মৃতের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।