নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন। দলীয় মুখপত্র জানল না। অথচ সেই খবর ফাঁস হয়ে গেল 'বুর্জোয়া মিডিয়া'য়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সতীর্থ দেবেশ দাসের বিরুদ্ধে এমন নালিশই জমা পড়ল আলিমুদ্দিনে। পত্র-বিতর্কের মাঝে এদিন বিমান বসু বলেন,''সততার আমদানি হয় না। এটা পিকে বুঝে গিয়েছে।''     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৪ অগাস্ট টিম পিকের টেলিকলার ফোন করেন রাজ্যের প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী দেবেশ দাসকে। তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয় ফোনের ওপ্রান্ত থেকে। বলা হয়, আপনি ভালো ও স্বচ্ছ মানুষ। তৃণমূলে কেন যোগ দিচ্ছেন না?'' সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেবেশবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ''আপনি ভুল লোককে ফোন করে ফেলেছেন।'' জোড়াজুড়ি করলে দেবেশ দাস স্পষ্ট জানান, সিপিএমের মতাদর্শ আছে। সেটা ছাড়তে পারবেন না। পার্টির একনিষ্ঠ 'কমরেড' দেবেশ দাসের সঙ্গে আইপ্যাকের কথোপকথন প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। দেবেশবাবুর মতো ব্যক্তিরাই সিপিএমের আদর্শ বলে প্রচার শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু দলের একটা অংশই আবার বেসুরো। দেবেশ দাসের বিরুদ্ধে নালিশ জমা পড়েছে আলিমুদ্দিনে।    


আইপ্যাক যে দেবেশ দাসকে ফোন করেছিল, সেই খবর সিপিএমের দলীয় মুখপত্রের আগে জেনে গিয়েছে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম। আলিমুদ্দিনে পাঠানো গোপন চিঠিতে সে কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাক্তনমন্ত্রীর প্রশংসা করে গোপনপত্রে লেখা হয়েছে, দেবেশবাবুর মতো কমরেড দলের আদর্শ। কিন্তু উনি দলের মুখপত্রকে না জানিয়ে বুর্জোয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছেন। এটা ঠিক হয়নি। দলের অনুশাসনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। 


দেবেশ দাসকে নজির হিসেবে তুলে এদিন তৃণমূলকে বিঁধেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর কথায়,''সততা আমদানি হয় না। এটা পিকে বুঝে গিয়েছে। তৃণমূল দলটা দেউলিয়া। ওদের দল চোর ডাকাতে ভরা। এটা ওদের দুর্ভাগ্য, আমাদের সততার জয়।''


আইপ্যাক ও দেবেশ দাসের কী কথা হয়েছিল? জানতে পড়ুন- CPM-র কী আছে? মতাদর্শ, ভাঙাতে এসে দেবেশ দাসের কাছে শুনল PK-র লোক