নিজস্ব প্রতিবেদন: কেউ নেতাদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন। কেউ সম্বৎসর বাড়িতেই পড়ে থাকেন। কেউ আবার মণ মণ তেল ঢালতে পারেন। যুব মোর্চার পর বিজেপির রাজ্য কমিটির তালিকা প্রকাশের পর এমন টিকাটিপ্পনী ভেসে আসছে মুরলিধর সেন লেন থেকে। একুশের আগে কিছুতেই আর দলের অন্দরের ক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না রাজ্য বিজেপি। নতুন রাজ্য কমিটি নিয়েও এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা পড়তে চলেছে অভিযোগ। কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত বেশ কয়েক জনের যোগ্যতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।                


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 নতুন রাজ্য কমিটির সদস্যদের নিয়ে কোথায় আপত্তি? কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি নামকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিজেপির পুরনো মুখ তাঁরা। অথচ ঠাঁই মেলেনি কমিটিতে। সদ্য রাজ্যপালের পদ ছেড়ে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছেন তথাগত রায়। তাঁর নাম নেই। এমনকি পুরনো বিজেপির অতিপরিচিত নাম জুলু মুখোপাধ্যায়ও বাদ পড়েছেন। নেই শিশির বাজোরিয়া।


দলের একাংশের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি এমন নাম রয়েছে, যাঁরা কয়েক মাস আগে দলে এসেছেন। তাঁদের কেউই চেনেন না। বিভিন্ন নেতার তল্পিবাহক তাঁরা। ওই নেতাদের বাড়িতেই সর্বক্ষণ দেখা মেলে তাঁদের। বিজেপির রাজ্য অফিসেও তাঁরা খুব একটা আসেন না। এমনও একজন রয়েছে, যিনি কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরেই পা রাখেননি। জানুয়ারিতে দলে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর দলের এক সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে তাঁর আর দেখা নেই। অথচ জেলায় জেলায় যাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পদ্মশিবিরে এখন কান পাতলে শোনা যাচ্ছে,'তাহলে সংগঠন করতে হবে না, খালি নেতাদের বাড়িতে কাজ করলেই রাজ্য কমিটিতে জায়গা মিলবে।'                        


যুব মোর্চা নিয়ে ক্ষোভের রেশ পৌঁছেছিল দিল্লিতে। এবারও রাজ্য কমিটি নিয়ে গাদাগাদা অভিযোগ যাচ্ছে। তার উপরে রাজ্যের শীর্ষ  নেতাদের মধ্যেই বিস্তর সংঘাত। সবমিলিয়ে একুশের আগে তৃণমূলকে সামলানো দূর অস্ত, রাজ্য বিজেপিই এখন বেসামাল।     


আরও পড়ুন- মেয়েছেলেরা যে কেন রাতে মদ খায়! আদালতে অশালীন মন্তব্য অভিষেকের আইনজীবীর