নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার রাত এগারোটা। লকডাউনের জেরে ততক্ষণে নিশ্চুপ কলকাতা। রেড রোড, মেয়ো রোড, ডাফরিন রোড তখন নিয়ন আলোয় মাখামাখি। এমন মায়াবী পরিবেশ হঠাত্ উত্তাল হয়ে উঠল অর্ধনগ্ন-মদ্যপ এক তরুণীর তাণ্ডবে। তাঁকে বাগে আনতে নাকানিচোবানি কলকাতা পুলিসের। ওই তরুণীর কাছ থেকে গালিগালাজ তো হজম করতেই হয়, তার সঙ্গে সপাটে চড়ও খেতে হয়েছে এক পুলিস কর্মীকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটা কী?


পুলিস জানাচ্ছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় ময়দান চত্বরে এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে মদ্যপান করেন বছর আঠাশের ওই তরুণী। জানা গিয়েছে ভবানিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। পুরুষ সঙ্গীটি চলে গেলে ঘটনার সূত্রপাত। রাত বাড়তেই রেড রোডের কাছে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তরুণী তাণ্ডব শুরু করেন। পথচারীর খবরে পৌঁছয় পুলিস। কিন্তু ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছোটে কলকাতা পুলিসের। অভিযোগ, এলোপাথারি মারধর শুরু করে ওই তরুণী। বাপ-মা তুলে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। রাস্তা কোনও গাড়ি দেখলেই দিকভ্রান্তের মতো ছুটে যান ওই তরুণী।


আরও পড়ুন- করোনায় হার মানলেন তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের


ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিস না থাকায় তাঁকে বাগে আনতে পারছিলেন না পুলিস কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে এসে পৌঁছয় ছয়-ছ’টি পুলিসের গাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছন মহিলা পুলিস-সমেত উর্ধ্বতন কর্তারাও। শুরু হয় মহিলার সঙ্গে ধস্তাধস্তি। শেষমেশ গাড়িতে মদ্যপ তরুণীকে তুলতে পেরে হাঁফ ছাড়ে বাঁচেন পুলিস কর্মীরা।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতেই তরুণীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরুষ সঙ্গীর খোঁজ চালানো হয়। ওই তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর দিদিকে। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান তাঁর ভাই।